কক্সবাজার উত্তর বনিবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের নলবিলা বনবিটের অধীনে চকরিয়া উপজেলার কাকারা মৌজার খেদারবান নামক এলাকায় ১০একর পরিমাণে ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ রোপন করে বনায়ন করেন এলাকার পরিবেশবাদী কাকারা গ্রামের মৃত আলহাজ্ব মাহবুব আলীর ছেলে মো: ওমর ফারুক। সে বিগত ২০১০সাল হতে বাগান সৃজনের পর থেকে রীতিমতো বাগান পরিচর্জার জন্য একজন পুরুষ ও একজন নারী প্রহরী নিয়োগ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, কাকারা মৌজার আর.এস ক-৮০৮, ক-৫৮৬ দাগে ও বিএস ১১২৮, ১২৭৯ দাগ ও ১নং খতিয়ানের ১৩০০নং দাগে গাছ শুন্য ন্যাড়াবনে হাইব্রিড, আকাশমনি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ রোপন ও পরিচর্জার মধ্য দিয়ে সে প্রায় ১০লাখ টাকা খরচ করেন। কাজী ফারুক জানান, সরকারের গাছ লাগানো ও বনায়ন করার ঘোষণা অনুযায়ী বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমতি সাপেক্ষে উক্ত বনায়ন করার পরও বিগত ২৯জুলাই’১০ইং কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করেন এবং পরবর্তী সর্বশেষ গত ১০জুলাই’১৫ইং নতুন করে আরেকটি আবেদন জমা দিয়েছেন। তিনি জানান, তার বাগানে গাছের সাইজ একটু বড় হওয়ায় স্থানীয় একটি দখলবাজ ও গাছ চোরদের অবৈধ হস্তক্ষেপের সম্মুখিন হচ্ছেন। এমনকি ওই বাগান নিয়ে তাকে প্রশাসনিকভাবেও নানাভাবে হয়রাণীর চেষ্টা চালাচ্ছে ভুমিদস্যুরা। ওমর ফারুক জানান, তার বনায়নে দিনের বেলায় পাহারা দেয়ার জন্য ২০জানুয়ারী’১২ইং সন হতে মাসিক সাড়ে ৩হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেন নারী শ্রমিক লাইলা বেগম লালুকে। একইভাবে পুরুষ প্রহরী হিসেবে নিয়োগ দেন ওই এলাকার মো: আজিমকে। মহিলা প্রহরী লাইলা বেগম ২০ফেব্রুয়ারী’১৫ইং পারিবারিক খরচের কথা বলে বেতনের অতিরিক্ত ১১হাজার ৮শত টাকা নেন তার কাছ থেকে। চলতি মার্চ মাস থেকে প্রতি সপ্তাহে অতিরিক্ত নেয়া টাকা বেতন থেকে কর্তন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের দেয়া প্রহরী হয়েও ষড়যন্ত্রকারী দখলবাজদের সাথে গোপন আতাতে জড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় তার বিরুদ্ধে থানায় একটি সাজানো অভিযোগ দায়ের করে বাগানের প্রহরী লাইলা বেগম। এরপর নতুন করে গত ২০মার্চ’১৫ইং থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০এর ৯(৯) ধারায় একটি মামলা (নং ২৬/১৩০) দায়ের করেন। বিগত ৪বছর ধরে ১০একর বাগান পাহারা দিয়েছে মর্মে বেতন ভোগ করলেও অভিযোগে সে দাবী করেছে মাত্র ১কানি পরিমাণের একাশিগাছের বাগান। এমনকি ওই বাগানের টংঘরে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে উল্লেখ করলেও বাস্তবে দিয়ে দেখা যায় ১০একরের চেয়ে বেশি পরিমাণের বাগানের মধ্যে কোন ধরণের ঘর কিংবা টংঘর নেই। সরে জমিনে গেলে স্থানীয় বসবাসকারী প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন জানিয়েছেন, বাগান সৃজনের পর থেকে কোন ঘর সেখানে তৈরী হয়নি এবং ওই বাগানে নারী প্রহরী কিংবা কোন ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেনি। এদিকে ওই বাগানের আশপাশ এলাকা নিয়ে গঠিত কাকারা শাহ ওমর নগর ভুমিহীন বাস্তুহারা সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল মালেক জানান, ১০একর পরিমাণে বাগানটি সৃজন করে মো: ওমর ফারুক। মূলত: তার বাগানে নিয়োগ দেয়া নারী প্রহরীকে ব্যবহার করে একটি মহল সুবিধা হাছিল কিংবা জবর দখলে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। তিনি ওই বাগানে ধর্ষণের বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানান।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: কামরুল আজম জানান, মামলা হলেও বিষয়টি সরে জমিনে তদন্ত করে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।