চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের নিরিবিলি আবাসিক এলাকায় প্রকাশ্যে বসতঘরে ঢুকে হামলা ও লুটতরাজ চালিয়ে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। এসময় বাঁধা দিতে গেলে বসতঘরের কেয়ারটেকার আবদুর রহিম ও পারভীন আক্তার নামের এক নারীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। ঘটনার সময় হামলাকারী দুর্বৃত্তরা ঘরের ভেতর আলমিরা ভেঙ্গে লুটে নিয়ে গেছে নগদ ৩লাখ ৬৫ হাজার ও সাড়ে চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার।
বসতঘরে হামলা ও জায়গা দখলের এ ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারটির পক্ষে চকরিয়া পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের ঘনশ্যাম বাজার এলাকার মরহুম আলহাজ মোহাম্মদ হোছাইন সওদাগরের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ১২ মে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটিতে চারজনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ১২জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন পৌরসভার নিরিবিলি আবাসিক এলাকার মরহুম জাহাংগীর কবিরের ছেলে আরফাতুল ইসলাম, জুনাইদুল ইসলাম, উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের আবুল কাশেমের ছেলে মোকাদ্দেছ ফারুক ও রোকেয়া বেগম নামের এক নারী। থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী মামলাটি রুজু করার পর তদন্তের জন্য থানার এসআই আলমগীর আলমকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বাদি শহিদুল ইসলাম দাবি করেন, চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নিরিবিলি আবাসিক এলাকায় মুল বিএস ৯২২ খতিয়ান থেকে সৃজিত ১৬৩৫ ও ১৮০০ খতিয়ানের অধীনে বিএস ৬২৪৫, ৬২৫৮ ও ৬২৫৯ দাগের ৪৪ শতক জায়গা তিনি খরিদা এবং পৈত্রিকসুত্রে মালিক। ওই জায়গায় তিনি চাষাবাদ করে ভোগদখলে রয়েছেন। কিন্তু জায়গার অংশে মালিকানা দাবি করে গত ৬ মে সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে অভিযুক্ত আসামিরা ভাড়াটে দুর্বৃত্ত জড়ো করে তাঁর (বাদির) জায়গা জবরদখলের জন্য পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কেয়ারটেকার আবদুর রহিম তাতে বাঁধা দিলে অভিযুক্তরা তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
বাদি শহিদুল ইসলাম এজাহারে আরো বলেন, হামলার খবর পেয়ে তার ভাতিজা পারভেজ উদ্দিনের স্ত্রী পারভীন আক্তার ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের কবল থেকে কেয়ারটেকারকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এসময় অভিযুক্ত আসামিরা ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পারভীন আক্তারকে। ঘটনার এক পর্যায়ে তাকে শ^াসরোধ করে হত্যা চেষ্টা করেন আসামিরা। এরই মধ্যে ভাড়াটে দুর্বৃত্তরা বসতঘরে ঢুকে আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও সাড়ে চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর আহতদেরকে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শাররীক অবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।