নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন- বাঙালি জাতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পর্ক পরামাত্মার সম্পর্ক। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি জাতি হিসেবে বাঙালির যেসব মহৎ অর্জন তার প্রতিটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের অবদান সর্বাপো বেশী। আওয়ামী লীগ সমগ্র জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছে, উজ্জ্বীবিত করেছে এবং সংগ্রাম, আন্দোলন, রক্তদান ও দেশ পরিচালনার মাধ্যমে সমগ্র জাতিকে সঙ্গে নিয়ে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে। সকল মহত্তম অর্জনের নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
হুইপ স্বপন গতকাল শনিবার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া উপজেলার সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম। চকরিয়া সরকারি কলেজ মাঠের স্বাধীনতা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন।
হুইপ স্বপন বলেন, বিশ্ব টালমাটাল অর্থনৈতিক অবস্থায় আজ সমগ্র মানব জাতির ন্যায় আমরা চরম সঙ্কট মোকাবেলা করছি। এই সঙ্কট মোকাবেলা করতে হলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত ইস্পাত-দৃঢ় ঐক্য প্রয়োজন। যখনই আওয়ামী লীগে বিভাজন হয়েছে, তখনই জাতি দুর্যোগে পতিত হয়েছে। সুতরাং জাতির অস্তিত্বের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগই সকল সঙ্কট মোকাবেলার জাতীয় শক্তি।
সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় এবং কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের কারণে দিন দিন নৌকার ভোট বাড়ছে। অপরদিকে আমরা এমন বড় বড় নেতা হয়ে গেছি, আমাদের মধ্যে এতই অহংকার কাজ করে, নেতা হয়ে নানা অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত হচ্ছি। ক্ষমতা আর ভাল লাগছে না। যার কারণে ভোট কমছে।’হুইপ স্বপন বলেন, ‘আমরা মানুষকে সম্মান করবো না, মানুষের সেবা করবো না। এর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি যায় না। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ছিল মানুষকে সম্মান করার রাজনীতি। আমাদেরকেও সেই বঙ্গবন্ধুর মতো মানুষকে বুকে আলিঙ্গন করে মানুষের মন জয় করতে হবে।’
চকরিয়ায় এমপি জাফর আলমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অনেকদূর এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আপনাদের নেতা এমপি জাফর আলমের নেতৃত্বে চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। এখানে এপিএস সালাহউদ্দিন মানুষের ওপর যে পৈশাচিক নির্যাতন করেছে, মানুষের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। যেভাবে মানুষকে হয়রানি করেছেন, আওয়ামী লীগের কর্মীকে নির্যাতন করেছে, পিতার জানাজায় যেতে দেয়নি, মামলার আসামী করে ডাণ্ডাবেড়ি দিয়ে মাসের পর মাস কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। সেই দিনটি মোকাবেলা করতে জাফর আলম সাহেব সক্ষম হয়েছিলেন।’
প্রথম অধিবেশনে উপজেলার সভাপতি জাফর আলম এমপির সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আজিমুল হক আজিমের সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান ও রেজাউল করিম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, ব্যারিষ্টার প্রশান্ত ভূষন বড়ুয়া, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ দলের জেলা, চকরিয়া, পেকুয়া, মাতামুহুরী উপজেলার জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
এদিকে দ্বিতীয় অধিবেশনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় পুনরায় নির্বাচিত হন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম। একাধিক প্রার্থী হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদে গোপন ব্যালটে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন উপজেলার সদ্যসাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু মুছা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।