এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): চকরিয়ায় উপকূলীয় বদরখালীতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে মালামালসহ সাতটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাত চারদিকে পুরাতন ফেরীঘাট (জীপ ষ্টেশন) এলাকায় অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। ওইসময় খবর পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটিদল ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর বলেন, বুধবার বেচাবিক্রি শেষে পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় ব্যবসায়ীরা রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে একটি দোকানে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন সুত্রপাত ঘটে। তারপর আগুন মুর্হুতে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে পাশের অন্তত ৭টি দোকান মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ফলে ফেরীঘাটের বিপুল পরিমাণ দোকান আরো বড়ধরণের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পুড়ে যাওয়া দোকানের মধ্যে একটি পানের দোকান, তিনটি খাবার হোটেল ও তিনটি কুলিং কর্ণার দোকান রয়েছে। তারমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকরা হলেন কবির আহমদ, জিয়াবুল করিম, বেলাল উদ্দিন, আবদুল করিম, আবদুল মন্নান, সিরাজ উদ্দিন, আলী আজম ও কামাল উদ্দিন।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে গতকাল সকালে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরউদ্দিন মোহাম্মদ শিবলী নোমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আজাদ, বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের কর্মকর্তা বাবুল চৌধুরীসহ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে তাদের তালিকা দেয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা হাতে পেলে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সহায়তা নিশ্চিত করতে তা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।