২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে ঢলের পানি কমেছে, বাড়ছেই জনদুর্ভোগ

চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকা। এখনো বেশির ভাগ বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদী থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বেশির ভাগ নীচু এলাকা প্লাবিত হয়ে থাকার ফলে উপজেলার হাজারো পরিবার এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। গতকাল দিনভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতের কারনে উপজেলার জনজীবনে নেমে আসে স্থবিরতা। অধিকাংশ এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যহৃত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে সবজি ক্ষেত ও গ্রামীন সড়ক-উপসড়ক। বেড়ে চলছে জনদুর্ভোগ।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আজিমুল হক আজিম জানিয়েছেন, টানা ভারী বর্ষণের কারনে রোববার সকালে মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামে। পানির প্রবল স্রোতে তাঁর ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা তলিয়ে যায়। তবে গতকাল সকাল থেকে ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা থেকে পানি নেমে গেলেও লোকজন চরম দুর্ভোগে রয়েছে।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাতে মাতামুহুরী নদীতে ঢল নামার কারনে পৌরসভার একাধিক স্থানে বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। নদীর ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের অন্তত ২০ হাজার জনসাধারণ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গতকাল সকাল পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। তারপরও বেশির ভাগ এলাকার লোকজন চলাচলে এবং স্বাভাবিক জীপন যাপনে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।


কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত ওসমান জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণের কারনে নদীতে ঢলের পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তাঁর ইউনিয়নে নদীর তীরবর্তী বেশির ভাগ এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। এখনো ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার জানিয়েছেন, মাতামুহুরী নদীতে পাহাড়ি ঢল নামার কারনে বিভিন্ন শাখাখাল ও স্লইচ গিয়ে দিয়ে তাদের লাকালয়ে ঢুকে পড়েছে নদীর পানি। গতকাল সকাল থেকে পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগের রয়েছে ইউনিয়নের বেশির এলাকার লোকজন। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নদীতে ঢলের পানি গতি বাড়বে। এ অবস্থায় উপকুলের একাধিক বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ার পাশাপাশি মৎস্য প্রকল্প সমুহ পানিতে ভেসে যেতে পারে।
বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার জানিয়েছেন, ঢলের প্রভাবে তাঁর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, পহরচাঁদা অংশে বেড়িবাঁেধর ক্ষতিগ্রস্থ অংশ দিয়ে লোকালয়ে ঢুকছে ঢলের পানি। গতকালও ইউনিয়নের বেশির ভাগ নীচু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।