চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে রাতের আঁধারে স্কুল শিক্ষকের বসতঘর আগুন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ওই শিক্ষকের বাড়ির একশ মন ধান, একটি কম্পিউটার, ফ্রিজ, বিপুল পরিমাণ আসবাবপত্রসহ প্রায় ৪লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামের মৃত মাষ্টার সিরাজুল হকের ছেলে স্কুল শিক্ষক সাইফুল হকের বাড়িতে ঘটেছে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা।
আক্রান্ত পরিবারটির গৃহকর্তা উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল হক অভিযোগ করেছেন, পারিবারিক জমি-জমা সংক্রান্ত প্রতিহিংসার জেরে ছোট ভাই ডা.দিদারুল হক ভাড়াটে লোক দিয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ইতোপুর্বে একবছর আগেও একইভাবে বাড়িতে আগুন দেয় দিদার। ওইসময় ঘটনার জন্য সে ক্ষমা চাইলে এব্যাপারে কোন ধরণের আইনী প্রতিকার নেয়নি বলে দাবি করেন সাইফুল হক।
স্কুল শিক্ষক সাইফুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে পাশের জমিদারপাড়াস্থ শশুড়বাড়িতে বেড়াতে যান। রাতে বাড়িতে ছিলেন তাঁর বৃদ্ধ মা আয়েশা বেগম (৭৫) ও প্রয়াত বড়ভাই ফরিদুল হকের স্ত্রী শওকত জাহান (৪৭)। এ অবস্থায় রাত আনুমানিক দুইটার দিকে তার বাড়িতে আগুন লাগে। আগুন বাড়ির ভেতর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এসময় তার মা ও ভাবীর শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও বাড়ির বেশির ভাগ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারটির গৃহকর্তা স্কুল শিক্ষক সাইফুল হক প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে সুবিচার কামনা করেছেন।
জানতে চাইলে ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রোস্তম আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে বলে আক্রান্ত পরিবারের গৃহকর্তা শিক্ষক সাইফুল হক জানিয়েছেন। এব্যাপারে তাকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরার্মশ দেয়া হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।