চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে কথিত শিশু ধর্ষণ মামলার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে গ্রেফতারকৃত দিদারুল ইসলাম দিদারের স্ত্রী রেহেনা শাহীন রিমা। গতকাল ২৫নভেম্বর বিকেল ৩টায় চকরিয়া প্রেস ক্লাবে লিখিত বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার বড় বোন হোসনে মর্জিনা সুমির সাথে বিগত ১৫বছর পূর্বে বিয়ে হয় কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল এলাকার আমানুল হকের। তাদের সংসারে ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর পর বোনের সংসার বিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্বামী-স্ত্রী দু’জনই অন্যত্রে বিয়ে করে আলাদা সংসার গড়ে। এক পর্যায়ে দু’সন্তানের অসহায়ত্ব অবস্থায় বড় মেয়ে (ভাগ্নি) সায়মা বিনতে শুভা (১২)কে আমি লালন পালন করে আসছি। এমনকি ২০০৯সালে চকরিয়ার বদরখালী ১নং ব্লক উত্তর নতুনঘোনা পাড়া এলাকার দিদারুল ইসলামের সাথে আমার বিয়ের পর থেকেও তাকে (ভাগ্নিকে) সুন্দরভাবে লালন পালন করি।
সংবাদ সম্মেলনে দিদারের স্ত্রী রিমা আরো বলেন, চলতি সনের ৯নভেম্বর আমার বাড়ি থেকে ভাগ্নি সায়মাকে তার বাবার সাথে দেখা করার কথা বলে আমার ভাই মহিউদ্দিন রিয়াদের যোগসাজসে নতুনঘোনা গ্রামের মৌলভী শামসুদ্দিনের পুত্র মফিজ উদ্দিন (প্রকাশ কালু মাঝি) ও বদরখালী ৩নং ব্লক এলাকার আবু তালেব বলি’র নেতৃত্বে ভাগ্নি সায়মা বিনতে শুভা’কে রাত ৮টার দিকে মোটর সাইকেল যোগে অপহরণ করে অজানার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। ৪দিন পর গত ১২নভেম্বর আমার স্বামী দিদার,তার সহপাঠি ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিসহ মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মৌলভীকাটা গ্রাম থেকে স্থানীয় মেম্বার মোহাম্মদ হোসেনের সহযোগিতায় ভোর ৫টার দিকে আমার ভাগ্নি শুভাকে উদ্ধার করেন। বিষয়টি স্থানীয় বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুল বশর, সংবাদকর্মী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করা হয়। একইদিন চকরিয়ার বদরখালী পুলিশ ফাড়ির আইসি (এসআই) মাহবুবুর রহমানের মাধ্যমে আমার বড় বোন হোসনে মর্জিনার কাছে ভাগ্নি (মেয়ে) শুভাকে জিম্মায় দেন। ভাগ্নি শুভাকে নিয়ে তার মা চট্টগ্রামে চলে যায়। পরে ভাই মহিউদ্দিন রিয়াদ ও বড় বোন হোসনে মর্জিনা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভাগ্নিকে ধর্ষণ করার সাজানো অভিযোগ এনে আমার স্বামী দিদারকে ফাঁসানোর জন্য গত ২৩নভেম্বর চকরিয়া থানায় একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এমনকি চকরিয়া পৌরসভার মগবাজার এলাকায় ব্যবসায়ীক কাজে আসা আমার স্বামী দিদারকে মামলা দায়েরের পূর্বে ভাই মহিউদ্দিন রিয়াদের সুকৌশলে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পুলিশকে ব্যবহার করে তাকে আটক করার ২ঘন্টা পর থানায় মামলা রেকর্ড করেন।
আমার বক্তব্য হল; আমার বোন হোসনে মর্জিনা বাদী না হয়ে ভাই মহিউদ্দিন রিয়াদ কেন মামলার বাদী হয়েছে। এটি আমার স্বামী দিদারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটি প্রমাণ। আমার স্বামী এধরণের কোন কাজে জড়িত। বরং নিজের মেয়ের মতো করে দীর্ঘ ৮বছর লালন পালন করেছে শুভাকে। আমার স্বামী আজ ৮বছর পর খেসারত পেলেন ধর্ষণ মামলার আসামী হয়ে। প্রকৃত কথা হচ্ছে; আমার ভাই মহিউদ্দিন রিয়াদ ও বড় বোন হোসনে মর্জিনার সাথে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ এবং মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণায় আদালতে বিচার কার্য শেষ পর্যায়ে হওয়ায় এধরণের সাজানো মিথ্যা মামলায় মেতে উঠেছে। আমার সংসারে ৪বছর বয়সী সানজিদা ইসলাম নাফিজা ও ২বছর বয়সী মাহফুজা ইসলাম মীম নামে দুই অবুঝ সন্তান রয়েছে। মূলত: আমার সুন্দর সংসারকে ভেঙ্গে তছনছ করে দেওয়ার জন্য আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের নামে মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে অন্যায় গ্রেফতার করেছে। তাই আমি বিজ্ঞ আদালত ও উর্ধ্বতন প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আমার নিরপরাধ স্বামীর মুক্তি দাবী
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।