চকরিয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক উপর্যপুরী ধর্ষণের অভিযোগে পূর্ববড়ভেওলা কালাগাজী সিকদারপাড়া গ্রামের মৃত সব্বির আহমদের পুত্র বখাটে সন্ত্রাসী লম্পট মেহেদী হাসান (২৬) এর বিরুদ্ধে ছাত্রীর পিতা ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ড চরপাড়া গ্রামের মো: নুরুল আবছার মানিকে বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় ২৬ফেব্রুয়ারী’১৫ নারী ও শিশু আইনে মামলা (নং ৩৩,জিআর ৯৫) দায়ের করেন। একইভাবে কালাগাজী সিকদারপাড়া গ্রামের নাসিম হাসান বাবুলের চকরিয়া মহিলা কলেজের দ্বিতীয়বর্ষে পড়–য়াকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় একই সন্ত্রাসীর হামলায় গুরুত্বর আহত সহ প্রাণে হত্যার চেষ্টা চালায়। এনিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা,ইভটিজিং বিভিন্ন অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ১৮ফেব্রুয়ারী লিখিত অভিযোগ দেন। এছাড়াও মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিত মামলা ও পরোয়ানা রয়েছে।
অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ড চরপাড়া গ্রামের মো: নুরুল আবছার মানিকের কন্যা ভেওলা মানিকচর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী (নাম প্রকাশ করা হয়নি) ১০ফেব্রুয়ারী স্থানীয় কালাগাজী সিকদারপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের পুত্র শহিদুল আলম মানিক (৩৫) এর সহায়তায় মৃত সব্বির আহমদের পুত্র বখাটে সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান (২৬) ধরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ২০/২৫মিনিট উপর্যপুরী ধর্ষণ করে। এনিয়ে ধর্ষণের শিকার ছাত্রী পিতা বাদী ধর্ষণের অভিযোগে ওই মামলাটি করেন।
কালাগাজি সিকদারপাড়ার বাসিন্দা নাসিম হাসান বাবুল জানান, তার মেয়ে চকরিয়া মহিলা কলেজের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্রী। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ছুটি শেষে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিএমচর উচ্চবিদ্যালয় গেইটের সামনে পৌছলে পূর্বথেকে উৎপেতে থাকা বখাটে যুবক একই গ্রামের মৃত সাব্বির আহমদের ছেলে মেহেদী তার মেয়ের(ছাত্রীর) পথরোধ করে নানা কটুক্তি সহ কু-প্রস্তাব দেয়। ছাত্রীর পিতা এর বাধা দেয়া সহ প্রতিবাদ করায় বখাটে মেহেদী হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রীর পিতার হামলা করে। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগটি দেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রীর পিতা বাবুল, ভাই ও আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে ওই মামলার আসামীর থানায় গিয়ে উল্টো কথিত সাজানো ও মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। মেহেদী হাসান ওই অভিযোগটি তদন্ত করছেন থানার উপপরিদর্শক মো: আল আমিন। ধার্যতারিখ ২১মার্চ আসামী পক্ষ থানায় উপস্থিত হলেও পরোয়ানাভুক্ত আসামী মেহেদী হাসান গ্রেফতার আতঙ্কে থানায় যায়নি। এমনকি তার এক বোন সেলিনা ইয়াসমিনকে দিয়ে কথিত অভিযোগে নিরীহ ছাত্রীর পিতা ও স্বজনদের বিরুদ্ধে থানায় গত ৬মার্চ একটি মামলা (নং ৯, জিআর ১১৩) দায়ের করেন। চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে গিয়ে বাদী সেলিনা সহ জখমীদের সিমপল সনদ নিলেও সুকৌশলে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল থেকে কথিত গ্রিভিয়েস সনদ নেন মামলায় দাঁড় করানোর জন্য। বর্তমানে সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারকে মামলা তুলে নিতে প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনে প্রাণ নাশের চেষ্টাসহ নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের বিষয়ে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে। একইভাবে ইভটিজিংয়ের অপরাধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দেয়া লিখিত অভিযোগটিও পেয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে। তবে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামী হওয়া সত্ত্বেও সে বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি তার জানাছিলনা বলে জানান।##
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।