২০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২১ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

সাতদিনেও উদ্ধার নেই ভিকটিম

চকরিয়ায় স্কুলশিক্ষার্থী শ্যালিকাকে অপহরণ:গ্রেফতার হয়নি মামলার আসামি!

চকরিয়ায় অভিযুক্ত দুলাভাই আবদুল মান্নান, অপহৃত স্কুলছাত্রী মনিকা জন্নাত।

এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): চকরিয়ায় স্কুলপড়ুয়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক শ্যলিকাকে অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্ত বিদেশ ফেরত দুলাভাইসহ সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার রাতে অপহৃতের বাবা আবুল কাশেম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয়েছে অপহরণে জড়িত দুলাভাই আবদুল মান্নান )৩২), তার ভাই হেলাল উদ্দিন (৩৬) ও সহযোগি মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে খলিলুর রহমানকে (৩৮)। এছাড়াও মামলার এজাহারে আরো ৩-৪জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, অপহরণের এ ঘটনায় অপহৃতের বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা রুজু করলেও পুলিশ গত সাতদিনেও উদ্ধার করতে পারেনি ওই ছাত্রীকে। এমনকি গ্রেফতার করতে পারেনি কোন আসামিকে।
মামলার আর্জিতে বাদি উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বমাইজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম (৪৪) জানান, তাঁর বড়মেয়ে রোকসানা আক্তারের সাথে কয়েকবছর আগে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় চকরিয়া পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের ভেন্ডিবাজারস্থ বড়পাড়া গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে জমির উদ্দিনের। বিয়ের বছর পর দূর্ভাগ্যবশত স্বামী জমির উদ্দিন মারা গেলে তার ছোট ভাই (স্বামীর ভাই) আবদুল মন্নানের সাথে নতুন করে বিয়ে হয় রোকসানার।
বাদি আবুল কাশেম দাবি করেন, দেবরকে বিয়ের কিছু দিন পর থেকে যৌতুকের দাবিতে রোকসানার উপর নির্যাতন চালাতে শুরু করে স্বামী ও তাঁর পরিবার। সর্বশেষ কয়েকমাস আগে বিদেশ থেকে ফিরে স্বামী আবদুল মান্নান যৌতুকের জন্য শাররীকভাবে নির্যাতন করে এক পর্যায়ে রোকসানাকে তাড়িয়ে দেয় আমার বাড়িতে (পিতৃালয়ে)।
রোকসানার বাবা কাশেম জানান, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ওই ঘটনায় স্ত্রী রোকসানা বাদী হয়ে ইতোমধ্যে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্বামী আবদুল মন্নানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তুলে নিতে স্বামী আবদুল মান্নান নানাভাবে স্ত্রী রোকসানাসহ পরিবারের সদস্যদেরকে হুমকি দেন। এমনকি মামলা তুলে না নিলে তাঁর ( রোকসানার) অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল ছাত্রী ছোট বোনকে অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করবে বলেও হুমকি দেয় মান্নান।
আক্রান্ত পরিবার সদস্যরা জানান, এ ধরণের হুমকির প্রেক্ষিতে সর্বশেষ গত ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় ডুলাহাজারাস্থ রোকসানার বাপের বাড়িতে হানা দেয় স্বামী আবদুল মান্নানসহ সহযোগিরা। ওইসময় তাঁরা পরিবার সদস্যদেরকে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে স্ত্রী রোকসানা আক্তারসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে জখমের পর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় স্ত্রীর ছোটবোন স্কুলছাত্রী মনিকা জন্নাতকে (১৪)। এ ঘটনায় অপহৃতের বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা রুজু করলেও পুলিশ গত সাতদিনেও উদ্ধার করতে পারেনি ওই ছাত্রীকে। এমনকি গ্রেফতার করতে পারেনি কোন আসামিকে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় তাঁর বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা রুজু করেছেন। অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামিদেরকে গ্রেফতারে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অপু বড়–য়াকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।