চকরিয়ায় রোববার রাতে জিল্লুর রহমান (২০) নামের এক যুবককে অপহরণের পর পরিবারের কাছে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করেছে দুর্বৃত্তরা। পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি থানার ওসিকে জানানোর পর গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের ছোট মিয়ার গেইট এলাকার একটি স্কুলের ভেতর থেকে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় পুলিশের অভিযানে ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করেছে। উদ্ধারকৃত যুবক জিল্লুর উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
অপহৃত যুবকের চাচা ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, রোববার রাত আটটার দিকে বাড়ির জন্য কিছু বাজার করতে চকরিয়া সদরে যান জিল্লুর। বাজার শেষ করে বাড়ি ফেরার জন্য রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাড়িতে উঠতে গেলে কয়েকজন যুবক এসে তাকে জিন্মি করে অন্য একটি গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। গতকাল সোমবার সকালে মুঠোফোনে অপহরণকারী দুর্বৃত্তরা তাঁর (জিল্লুর) পরিবারের কাছে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে। তিনি জানান, ঘটনাটি গতকাল বিকালে থানার ওসিকে জানানো হলে পরে এসআই এনামুল হকের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশদল অভিযান চালিয়ে উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নে একটি স্কুলের ভেতর থেকে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।
চকরিয়া থানার ওসি মো.জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানস্থল থেকে দুই কিশোরকে আটক করা হয়েছে। তবে ওই যুবককে থানায় আনার পর আটক দুইজনের সাথে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে। ওসি বলেন, ওই যুবক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে তাকে কেউ অপহরণ করেনি, সে স্বেচ্ছায় ওই এলাকায় যায়। তার সাথে আর্থিক লেনদেন থাকার কারনে সে কৌশলে পরিবারের কাছে ফোন করে ওই টাকা আদায় করতে এসব বলেছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, পুলিশের অভিযানে অপহৃত ওই যুবককে উদ্ধার এবং দুইজনকে আটক করা হলেও ঘটনার নাটের গুরু অভিযানস্থল স্কুলের পেছনের বাড়ির মুবিনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মুবিন পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।