চকরিয়ায় স্ত্রীর দায়ের করা নারী নির্যাতন ও যৌতুক আইনের মামলায় স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। একই মামলায় স্বামীর অন্যতম সহযোগি হেলাল উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড নতুনঘোনা পাড়া এলাকায়।
অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মধ্যম কৈয়ারবিল গ্রামের হাজী আমির হোসেনের মেয়ে উম্মে হাবিবা ফাহিমা (২১) এর সাথে ৭লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় বদরখালী ইউনিয়নের নতুনঘোনা পাড়া এলাকার কবির আহমদের পুত্র মো: মাহবুবুল ইসলাম সুমনের সাথে। তাদের সংসারে ১৮মাস বয়সী এক পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী সুমন চট্টগ্রামে মধুনাঘাট মেহেরনেগা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতার চাকুরীর সুবাদে থাকেন চট্টগ্রামে। এ সুযোগে স্বামী সুমন জড়িয়ে পড়েন পরকিয়া প্রেমে। বাড়ি ফিরলে স্ত্রীর উপর শুরু করেন নির্যাতন। স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টায় মারধরের এক পর্যায়ে তাড়িয়ে দেন স্ত্রীর পিতৃালয়ে।
সর্বশেষ ১সন্তানের জননী স্ত্রী উম্মে হাবিবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত কক্সবাজারে মামলা নং ১৫১২/১৬, ১১৭১/১৬ দায়ের করেন। মামলাটি লিপিবদ্ধ করে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত,চকরিয়াকে। স্বাক্ষী প্রমাণ ও বাদীর জবানবন্ধী শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দম ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে আসামী স্বামী সহ ২জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানী জারি করেন।
ইতোমধ্যে মামলার ২নং আসামী স্বামীর সহযোগি বদরখালী নতুনঘোনার ছিদ্দিক আহমদের পুত্র হেলাল উদ্দিনকে চকরিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এদিকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর পর থেকে স্বামী সুমন চট্টগ্রামের চাকুরীরত বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত সহ পলাতক রয়েছে। বর্তমানে প্রশাসনের চোখকে ফাঁিক দিয়ে কৌশলে বিদেশ পাড়ি জমানোর অপচেষ্টা করছে বলে জানাগেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।