চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়ায় মা-মেয়ে খুনের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও এর রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, চুরি-ডাকাতি, পারিবারিক কলহ ও ব্যবসায়িক কোন্দলসহ বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছেন তারা।
এঘটনায় নিহতের স্বামী শাহ আলম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এর আগে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই পরিবারের শিশুদের গৃহশিক্ষককে হেফাজতে নিলেও পরে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
সদরঘাট থানার ওসি আবুল কালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত নাসিমা বেগমের স্বামী শাহ আলম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যামামলা করেছে।
তিনি বলেন, “ঘটনার পর গৃহশিক্ষক মো. রকিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে আনা হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকায় আল ইসলাম নামে ছয়তলা ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে খুন হয় স্থানীয় মাংস বিক্রেতা শাহ আলমের স্ত্রী নাসিমা বেগম (২৮) এবং তাদের ১০ বছর বয়সী মেয়ে রিয়া আক্তার ফাল্গুনী।
এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরিচিতদেরকেও সন্দেহের মধ্যে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মিজানুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গৃহশিক্ষক, নিহত নাসিমার স্বামী শাহ আলম, ভাই আললসহ বেশ কজন আত্মীয়, দোকান কর্মচারি ও কাজের বুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এছাড়া তাদের পরিচিত আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোঁজা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখনও পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও বেশ কিছু বিষয় মাথায় নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। চুরি, পারিবারিক কলহ ও ব্যবসায়িক কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কিনা তাও নজরে রেখেছি।
“সেজন্য অপরিচিতদের পাশাপাশি নিহতের পরিচিতদেরও সন্দেহের বাইরে রাখছি না।”
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়াদের ছেড়ে দেয়া হলেও তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা রউফ।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই ঘটনাস্থলে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হত্যাকাণ্ডের ধরণ দেখে আমাদের ধারণা, এটা পেশাদার খুনিদের কাজ নয়। চুরি-ডাকাতি কিংবা অন্য কোন কারণে বাঁধা দেওয়ায় বা চিনে ফেলায় খুন করা হয়েছে মা-মেয়েকে।”
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআাইডি) একটি দল ১৬টি আলামত সংগ্রহ করেছেন বলে জানান পরিদর্শক মিতুশ্রী বড়ুয়া।
নিহতের স্বামী শাহ আলম পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তার বাসা থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার খোয়া গেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।