চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চরম্বা ইউনিয়নের রাজঘাটা নোয়ার বিলা এলাকার আকলিমা আকতার মিশুকে উদ্ধার করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।গত ২৯মার্চ রাত ১১ টায় চট্টগ্রাম জালালাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে এবং তার নতুন স্বামী মিঠুন শীলকে আটক করে লোহাগাড়া থানার হেফাজতে নিয়ে আসে।সুত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত এলাকার আবদুল দ্দাইয়ানের কন্যা
আকলিমা আকতার( মিশু)র সাথে মাইজবিলা এলাকার আবদুর রহমানের পুত্র ডাঃ জনু মিয়ার পারিবারিক ভাবে ১০ লক্ষ টাকা কাবিননামা মুলে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের বিয়ের তিন মাস পর জানতে পারে আকলিমা আকতার ( মিশু ) এর সাথে দীর্ঘ যাবত অপর একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক রয়েছে।বিষয়টি তার স্বামী ডাঃ জনু মিয়ার দৃষ্টিগোচর হয়।পরবর্তীতে মিশুর বাবা বাদি হয়ে জনু মিয়ার বিরুদ্ধে নারীও নির্যাতন আদালতে( ১১)(গ)ধারায় জনুর পরিবারের সবার বিরুদ্ধে মিথ্যা একটি মামলা দায়ের করেন। বিগত ৭নভেম্বর মিশু স্ব ইচ্ছায় জনু মিয়া কে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তালাক প্রদান করে ।তালাকের পর (মিশু) তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক চট্টগ্রাম ভুজপুর হারুয়াল ছড়ি এলাকার পুলিন শীলের পুত্র মিঠুন শীলকে দ্বিতীয় বিবাহ করে।সুত্রে আরো জানা গেছে,কিছুদিন পুর্বে মিশুর তালাকপ্রাপ্ত স্বামী জনু মিয়া তাকে অপহরণ করছে বলে মিশুর মা শাহিন আকতার বাদী হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে।পরবর্তীতে মিথ্যা মামলায় সাবেক স্বামী ও তাদের পরিবারের লোকজন বিনা অপরাধে বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
এ ব্যাপারে লোহাগাডা থানার এসআই লিটন চন্দ্র সিংহ উক্ত প্রতিবেদককে জানিয়েছেন,মিশু এবং তার নতুন স্বামী মিঠুন শীলকে গত ২৯মার্চ রাত ১১ টায় চট্টগ্রাম জালালাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। মিঠুন হিন্দু পরিবারের সন্তান।তাদের দুজনের সাথে দীর্ঘদিনের গভীর সম্পর্ক মাধ্যমে বিয়ে করেছে।মিশুর স্বামী মিঠুন মুসলীম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।বর্তমানে তারা দুজন লোহাগাড়া থানার হেফাজতে রয়েছেন বলেও তিনি জানান।এদিকে ভিকটিম মিশু জানান, তাকে কেউ অপহরণ করেননি। তিনি সইচ্ছায় বাড়ির থেকে পালিয়ে গিয়ে তার প্রেমিককে বিয়ে করেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।