চকরিয়ায় কৃষি বিভাগের নজরদারির অভাবে যততত্র গড়ে উঠেছে ভেজাল বীজ ও কীটনাশক বিক্রির দোকান। এসব দোকান থেকে ছড়াদামে ভেজাল বীজ ক্রয় করে জমিতে রোপন করে এখন ফলন বির্পযয়ের সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। এতে করে এলাকার দরিদ্র কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। চলতি মৌসুমে বিপুল পরিমাণ জমিতে বরবটি চাষ করে ভেজাল বীজ রোপনের কারনে ফলন না হওয়ায় আর্থিকভাবে দেউলিয়া হচ্ছেন এনামুল হক, নাছির উদ্দিন ও আবুল কাশেম নামের তিন কৃষক। ক্ষতিগ্রস্থ তিন কৃষকের বাড়ি উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমপুকুরিয়া গ্রামে। তাঁরা চাষ করেছেন ফাসিয়াখালী ব্রাক অফিসের সামনের বিলে।
অভিযোগে কৃষক এনামুল হক, নাছির উদ্দিন ও আবুল কাশেম জানান, প্রায় চার মাসে চকরিয়া বালিকা বিদ্যালয় সড়কে ফরিদ ও ওসমানের মালিকানাধীন বীজের দোকান থেকে তাঁরা প্রতি প্যকেট ১৩০টাকা করে ইস্ট ওয়েস্ট কোম্পানীর বরবটি (লাল) বীজ ক্রয় করেন। পরে এসব বীজ জমিতে রোপন করেন। ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, বীজ রোপনের ৩ থেকে চার মাসের মধ্যে ভাল ফলন আসার কথা। কিন্তু এতদিনেও তাদের জমিতে কোন ফলন আসেনি। গত কিছুদিন আগে দোকানে এসে বীজের ব্যাপারে মালিক ফরিদকে অভিযোগ করেন কৃষক এনামুল হক। ওইসময় কথা দেন বীজ দোকানের মালিক ফরিদ কয়েকদিন পর বরবটি খেত দেখতে যাবেন। ফলন না আসলে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদেরকে সকল ক্ষতিপুরণ দেবেন।
কৃষক এনামুল হক অভিযোগ করেছেন, আজ যাবে, কাল যাবে বলে সময় ক্ষেপন করে দোকান মালিক ফরিদ আর খেত দেখতে যায়নি। এখন তার কাছে গেলে উল্টো তিনি (বীজ দোকান মালিক) নানাভাবে ওলট-পালট কথা বলছেন।
কৃষক এনামুল হক, নাছির উদ্দিন ও আবুল কাশেম জানান, এ অবস্থার কারনে জমি লাগিয়ত, শ্রমিক মজুরী, খেত রক্ষনা-বেক্ষনসহ নানা খরচ বাবতে তাদের প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁরা ভেজাল বীজ বিক্রেতাদের আসামি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ বলেন, এ রকম ঘটনায় কোন কৃষক অভিযোগ দেয়নি। তবে ভেজাল বীজের কারনে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হলে অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।