২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

চাকরি নিলেন আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার

আলোচিতSP Babul 2 পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার এখন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ নিয়েছেন। জানা গেছে রাজধানীর মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালের পরিচালক হিসিবে যোগ দিয়েছেন তিনি। নিয়মিত অফিসও করছেন। হাসপাতালের প্রশাসন বিভাগ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে পরিচালক হিসেবে যোগ দেয়ার বিষয়টি।

উল্লেখ্য, বাবুল আক্তার ২০০৫ এ পুলিশে যোগদানের পর র‌্যাব ২ এ তাকে পদায়ন করা হয়। ৬ বছরের মাথায় অর্থাৎ ২০১১ সালের মধ্যে তার ঝুলিতে যোগ হয় পুলিশের সর্বোচ্চ দু’টি পদক (পিপিএম) রাষ্ট্রপতি পদ ও বিপিএম বাংলাদেশ পুলিশ পদক। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। যেখানেই গেছেন সাফল্য তার পায়ে এসে লুটোপুটি খেয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর ও দক্ষিণের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, জঙ্গি গ্রেফতার করেন। চটগ্রামের সদরঘাট এলাকায় জঙ্গিরা দু’ ব্যাবসায়ীকে হত্যা করেন এবং সাড়ে ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন।

বাবুল আক্তার ছিনতাইকৃত টাকাসহ দু’জঙ্গি গ্রেফতার করেন। পরে জানা যায়, জঙ্গি অর্থায়নের লক্ষে তারা ডাবল মার্ডার সংঘটিত করে নগদ অর্থ লুটে নেয়। এরপর বান্দরবানের নাইক্ষংছড়িতে বাবুল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হানা দিয়ে একটি জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করেন। এই ঘটনায় অপরেশন অংশগ্রহণকারী ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়। একের পর এক দৃঢ়তা ও সাহসিকতাপূর্ণ অভিযানে বাবুল আক্তারের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। নিজ ডিপার্টমেন্টেও তিনি হয়ে ওঠেন দন্ডমুন্ডের কর্তা। যাকে এক কথায় বলা যায় হিরো।

এই হিরো এখন জিরোতে পরিণত হয়েছেন। স্ত্রী হত্যায় তার সম্পৃক্তার প্রশ্ন ওঠে। তিনি সর্বত্র বিতর্কিত হন। এত সাফল্যের পাশাপাশি তার চরিত্র ও অপকর্মের ফিরিস্ত শুনে পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা হতবাক হন।

কর্মগুনে যে কর্মকর্তা সুখ্যাতি অর্জন করে জিরো থেকে হিরো হয়েছিলেন কর্মদোষে আবার তিনিই হিরো থেকে জিরো হয়ে গেলেন।

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে হয় পুলিশ বাহিনী থেকে সরে যেতে হবে, নয় হত্যা মামলার আসামি হয়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। বাবুল আক্তার সরে যাওয়ার সম্মতি জানালে সেদিনই পদত্যাগপত্রে সই নেওয়া হয়। এ পদত্যাগের মধ্য দিয়ে হিরো থেকে জিরো হয়ে যান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।