কালবৌশেখী ঝড়ে বিদ্যুতের খুটি ক্ষতি হওয়ায় গত চার দিন ধরে বিদ্যু নেই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের অন্তত দুই শতাধিক গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়া ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঝড় পরবর্তী সময়ে টানা বিদ্যুৎ না থাকায় প্রায় তিন হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক ভোগান্তির চরমে পৌঁছেছে গ্রাহকরা।
রামু বিদ্যুৎ সঞ্চালন অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন জানায়, তাদের অধীনে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুর কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়া সংযোগ এলাকায় কোথাও নদী, কোথাও পাহাড় ও গাছ-গাছালির মাঝখান দিয়ে লাইন পাড়ি দিয়েছে। এজন্য সামান্য বাতাসে লাইনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে ২৬ এপ্রিল বিকালের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কাজ করছে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল রাতে প্রায় ২০/৩০ মিনিটের ঝড়-বাতাসে রামু নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের জারুলিয়াছড়ি এলাকায় মাত্র ২টি বিদ্যুতের খুটি ও তার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে সে দিন থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে নাইক্ষ্যংছড়ি, কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়ার প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ।
এদিকে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়া স্বত্বেও বিদ্যুৎ পুন: স্থাপনের বিষয়ে প্রশাসনিক কোন ধরনের হস্তক্ষেপ না থাকায় বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের নিজেদের ইচ্ছেমত ধীরগতিতে সংযোগ লাইন মেরামত করছে। এদিকে বিদ্যুত লাইন মেরামতের শেষ পর্যায়ে দুই জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিবার বিদ্যুত সংযোগ স্থাপনের বিষয়ে খোজ নিচ্ছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ জানান, টানা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ভোগান্তির চরমে পৌঁছেছে সাধারণ মানুষ। যোগাযোগ সমস্যার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ব্যাহত হচ্ছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মালামাল। ব্যবসায়ীদের পড়তে হচ্ছে মারাত্মক সমস্যায়। এছাও বিদ্যুত নির্ভরশীল বিভিন্ন মানুষ চরম অসহায় হয়ে পড়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।