শফিক আজাদ,(চীপ রিপোর্টার): দীর্ঘ ৪মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে এক মহৎ ব্যক্তির অর্থায়ানে চালু হলো পার্বত্য অঞ্চলের সাথে উখিয়ার সড়ক যোগাযোগ। এতে পার্বত্য অঞ্চলের ১০ হাজারের অধিক পাহাড়ী-বাঙ্গালীর দুঃখ দুর্দশা লাঘব হয়েছে। গত জুলাই মাসে ৫ তারিখ অতি বর্ষনে ও পাহাড় ধ্বসে সড়কটি লন্ডভন্ড হয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের ধর্ণা দিয়েও দীর্ঘদিন কোন কাজ না হওয়ায় স্থানীয় সমাজসেবক, বিশিষ্ট্য শিক্ষানুরাগী হায়দার আলীর নামের এক মহৎ ব্যক্তি নিজস্ব অর্থায়ানে সড়কটি সংস্কার করে দেয়। যার ফলে রবিবার থেকে সড়ক যোগাযোগ পুর্বের ন্যায় চালু হয়। এতে স্থানীয় পাহাড়ী-বাঙ্গালী লোকজন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, সীমান্তের পার্বত্য ঘুমধুম ইউনিয়নের বৃহত্তর রেজু মৌজা এলাকার ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সাথে উখিয়ার যোগাযোগ বন্ধ ছিল দীর্ঘ প্রায় ৪মাস। বিশেষ করে রেজুপাড়া বিওপি’ ক্যাম্পের পশ্চিম পাশের্^র ঢালায় সড়কের উপর পাহাড়ী ধ্বসে মাটির স্তুপ হয়ে থাকায় ওই এলাকার বসবাসকারী প্রায় ১০হাজারের অধিক লোকজন চলাফেরায় মারাত্মক বাধাগ্রস্থ হয়ে দাড়িয়েছিল। এমনকি তাঁদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে না পেরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছে। এছাড়াও সড়ক যোগাযোগ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা পড়ালেখায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটেছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা মহল।
সরজমিন রেজুপাড়া বিওপি ক্যাম্প সংলগ্ন ঢালা ঘুরে রেজু ফাত্রাঝিরি এলাকা বসবাসকারীদের সাথে কথা জানা গেছে, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে তাঁদের একটি দাবী ছিল এ সড়কটি চালু করার। এলাকাবাসির প্রচেষ্টায় অনেক কষ্টের বিনিময়ে দীর্ঘ ১ যুগ পূর্বে তৎকালীন সরকারের আমলে সড়কটি কাজ শুরু হয়। প্রতিমধ্যে উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি দু’উপজেলার সীমান্ত টানাটানি নিয়ে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় ও হায়দার আলী নিজের অর্থ ব্যয় করে নির্মাণ কাজটি পূনরায় শুরু করেছিল। যাহা পরবর্তীতে সফল ভাবে সম্পন্ন হয়। কিন্তু পক্ষান্তরে চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে প্রাকৃতিক বন্যা ও পাহাড় ধ্বসে সড়কে বিশাল মাটি স্তুপ চলে আসায় আবার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু এলাকার বয়োবৃদ্ধ সচিন্দ্র লাল কারবারী জানান, হায়দার আলী তার নিজস্ব অর্থায়ানে ২০জন লোক ১৫দিন কাজ করে বোল্ড ড্রোজার দিয়ে রাস্তার মাটি গুলো অন্যত্রে সরিয়ে সড়ক যোগাযোগ স্বচ্ছল করে দেন। এব্যাপারে হায়দার আলী নিকট থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদের দুর্দশা দেখে নিজের অর্থ দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করেছি। এর প্রতিদান এখানে না পেলেও পরকালে পাবো।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা ও বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী সুরুত আলম সওদাগর বলেন, বৃহত্তর রেজু’র ১০হাজারের অধিক লোকজন দীর্ঘদিন কষ্ট পেয়েছে এই সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকার কারনে। স্থানীয় সমাজ সেবক হায়দার আলী যে মহৎ কাজটি করেছে রেজুর মানুষ তার প্রতি কৃজজ্ঞ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।