চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কক্সবাজারের সাংবাদিক সফিউল আলম। রবিবার (২৭ আগস্ট) আছরের নামাজের পর পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মুহুরিপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে নামাজে জানাজা শেষে তাকে মুহুরিপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজার পূর্বে সাংবাদিক সফিউল আলমকে স্মরণ করে স্মৃতিচারণ করেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন জেলা ও দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও সফিউল আলমের বদিউল আলম।
এর আগে রবিবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য সফিউল আলম চট্টগ্রামস্থ ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি দুরারোগ্য লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন কন্যা, স্ত্রী, পিতা, মা, ভাই সহ অনেক স্বজন রেখে গেছেন।
সফিউল আলম ১৯৭৭ সালে ২৮ নভেম্বর বর্তমান পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মহুরী পাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ওসমান গণি, মাতা সাজেদা বেগম।
সফিউল আলম ২০১১ সালে গণমাধ্যমে কাজ শুরু করেন। কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকায় কাজ শুরু করা এই সাংবাদিক পত্রিকাটি সর্বশেষ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন। তিনি জাতীয় দৈনিক দি বাংলাদেশ টুডে এবং দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত অবস্থায় না ফেরার দেশে যাত্রা দিলেন।
তিনি ছাত্রজীবন থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের রাজনীতির সাথে সংযুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা, কক্সবাজার জেলা শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মগনামা স্কুল ছাত্রলীগের প্রথম সাংগঠনিক কমিটির সহ সভাপতি, মাগনামা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।