কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের ছাত্রদলের এক কর্মীর নেতৃত্বে দুই কলেজশিক্ষক ও এক প্রদর্শকের ওপর হামলার ঘটনায় দুই দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকেরা।
শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও জড়িত শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে উপজেলা ছাত্রলীগ গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় পেকুয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে সেখানে সমাবেশ করেন নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে বক্তব্য দেন পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. শওকত, আমিনুর রশিদ, মো. ইয়াছিন, ফারুক আজাদ, আরিফুল ইসলাম। সমাবেশে শিক্ষকদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রদলের কর্মীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।
এদিকে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে গতকাল বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা স্থানীয় দুই সাংবাদিকের অফিসে গিয়ে হুমকি দিয়েছেন। শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদলের কর্মী সালাহউদ্দিনের নেতেৃত্বে পাঁচ-ছয়জন যুবক সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পেকুয়া চৌমুহনী এলাকায় সাংবাদিকদের একটি কার্যালয়ে (স্থানীয় সাংবাদিকেরা সেখানে বসেন) যান। তাঁরা সেখানে গিয়ে প্রথম আলোর চকরিয়া প্রতিনিধি এস এম হানিফ, যায়যায়দিন-এর পেকুয়া প্রতিনিধি মোহাম্মদ ফারুক ও দৈনিক আজকের কক্সবাজার-এর পেকুয়া প্রতিনিধি ইমরান হোসাইনকে খুঁজতে থাকেন। সেখানে থাকা অন্য সাংবাদিকদের কাছে তাঁরা এই তিনজনের খোঁজ করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদ ফারুক বাদী হয়ে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
গত রোববার সকালে পেকুয়ার শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজে দুই শিক্ষক ও এক প্রদর্শককে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। এইচএসসির নির্বাচনী পরক্ষীয় নকল করতে না দেওয়ায় শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকায় নয়জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও পুলিশ তা মামলা হিসেবে নেয়নি।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, কলেজের অধ্যক্ষের করা এজাহারটি তদন্ত করা হচ্ছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।