দিনদিন অশান্ত হয়ে উঠছে উখিয়ার ক্রাইম জোন নামে খ্যাত পালংখালী ইউনিয়ন। ১দিনে পৃথক ২টি মামলা রুজু হয়েছে উখিয়া থানায়। তৎমধ্যে পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা বাপ্পীর উপর হামলা ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছারকে প্রধান আসামী করে ৩২৬ধারায় মামলা। অপরটি হচ্ছে পালংখালী ইউনিয়নের পালংখালী বটতলী ফারিরবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান জাবুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলা। উক্ত মামলায় অন্তত ২০/২৫জন লোককে আসামী করা হয়েছে বলে থানা সুত্রে জানা গেছে।
সুত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহ খানে পুর্বে বালুখালী কাষ্টম্স এলাকায় ট্টাক শ্রমিক ইউনিয়নের বনভোজন ও মিলন মেলার অনুষ্ঠানে প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য নুরুল আবছারের নেতৃত্বে ৪০/৫০জন লোক অতর্কিত ভাবে মামলা চালিয়ে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা ও যুবলীগ নেতা জিয়াউল হক বাপ্পীকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে পরবর্তীতে অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে। এ ঘটনায় উখিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়, যার নং-১০(১৬২) যার স্মারক নং-৩১৮৭(৩)/১ ও জেল এল নং-১২।
অপরদিকে গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পালংখালী ইউনিয়নের বটতলী এলাকায় তুচ্চ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ মুজিবুর রহমান, শাহরিয়ার শাকিল ও মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ১০/১২জন সন্ত্রাসী পরিকল্পিত ভাবে ওই এলাকার মৃত জাফর আলমের ছেলে মুজিবুর রহমান জাবু ও তার বড় ভাই লুৎফর রহমানের উপর দারালো দা’ কিরিচ’ছুরি নিয়ে হামলা করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মিজানুর রহমান জাবু মারা যায়। এঘটনার উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে। যার নং-১০, তাং-০৮/০৫/২০১৭ইং। যদিবা উখিয়া থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। এ ঘটনার পর থেকে পালংখালীতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের। তিনি এসময় বলেন, পৃথক মামলা আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।