বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভূমি জবর দখল, ভূমিতে সৃজিত গাছ কর্তনে বাধা দেওয়ায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে বেধড়ক মারধর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, শুক্রবার সকালে আজিজনগর ৬নং ওয়াড় ছাত্রলীগের যুগ্নসম্পাদক আবুল কালাম ও তার মাকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে এনে তাদের মারধর ও লাঞ্চিত করেন ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম জানান, রাস্তা নির্মাণেরর নামে আজিজনগর চিউনি পাড়া সোলাইমান বাজার এলাকায় তাদের ঘরের ভিটা ও গাছ পালা কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় জসিম উদ্দিনের সাঙ্গ পাঙ্গরা। এতে তারা বাধা প্রদান করেন এবং গাছ গুলো না কেটে যতটুকু সম্ভব বাচাঁনোর জন্য তারা ইউপি সদস্য কহিনুর বেগম ঘটনাটি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম ও তার মাকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। এসময় চেয়ারম্যান তাদের পরিচয় জানাতে চাইলে আবুল কালাম নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেয়াতে সাথে সাথে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লাথি ও কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধমকি দিয়ে চেয়ারম্যান বলেন তোর পড়া লেখা এখানে শেষ। প্রণে বাচতে চাইলে তাড়াতাড়ি এই এলাকা ছেড়ে চলে যা। এসময় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিস তাকে এবং তার মাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ইউপি কার্যালয় থেকে বের করে দেয়। এঘটনা জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। এব্যাপারে আজিজনগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুল আলম রাজা সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এর আগেও চেয়ারম্যান জসিমের বিরুদ্ধে আ.লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মারধর, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও জায়গা জবর দখলের অভিযোগ রয়েছে। জসিম উদ্দিন আ.লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান হওয়ার পরেও তিনি আজিজনগরে আ.লীগের রাজনীতি ধংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি আরো জানান, চেয়ারম্যান জসিম অবৈধ কর্মকান্ড এবং সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় তিনি আমাকেও হত্যাসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে।
ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউসার সোহাগ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান এব্যাপারে জেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ও লামা উপজেলা সভাপতিকে জানানো হয়েছে। তাদের সাথে আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে যাথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।