জেলা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী সদস্য ও রাজপথের ত্যাগী ছাত্রনেতা ফয়সাল আবদুল্লারহ উপর গুলিবর্ষণকারী সন্ত্রাসী মোবারকসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল কক্সবাজার প্রেসক্লাবে তার পরিবারের পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে হামলার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোনো সন্ত্রাসী গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গুলিবিদ্ধ ফয়সাল বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফয়সালের ছোট ভাই ও পৌর ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আশিক বলেন, আমার ভাই ফয়সাল জাতির জনকের একনিষ্ঠ প্রেমিক এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা দেশনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ঐতিহাসিক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন বলিষ্ঠ কর্মী। তিনি আওয়ামী লীগের প্রথম বার ক্ষমতার গ্রহণের আগ থেইে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে। সেই থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ছাত্রলীগের জন্য তিনি নিজের জীবনকে সব সময় প্রস্তুত রেখে আসছেন। ১/১১ এবং ২০১৩ সাল থেকে বিএনপি-জামায়াতের দেশ বিধ্বংসী অরাজকতার বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে তাদের প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। তার অকুণ্ঠ শ্রম ও আন্তরিক ভালোবাসা ছাত্রলীগের সাথে জড়িয়ে আছে। তিনি সব সময় ছাত্রলীগের সকল কর্মকান্ডে সবার আগে অংশ নিয়ে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কলাতলীর নিজ কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে শহরের বাহারছড়া এলাকার আসমত আলীর পুত্র মোবারক ও তার বাহিনীর অন্যান্য সন্ত্রাসীরা মিলে তাজর মুল্লক সড়কে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ফয়সালের উপর গুলি করে। এছাড়াও তাকে শারীরিকভাবে আরো নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়। এতে তিনি মারাত্মক আহত হয়েছেন। এমনকি তার জীবন সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার পেটে বিদ্ধ গুলি এখনো বের করা যায়নি। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশের নেয়ার জন্য প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। সব মিলে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত হয়নি।
আশিক বলেন, ফয়সালের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় আমি (রেজাউল করিম আশিক) বাদি হয়ে সন্ত্রাসী মোবারক আলীসহ তিনজনের নাম উল্লেখপূর্বক ৭ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও কষ্ট এবং পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো কোনো আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই জন্য আমরা অত্যন্ত হতাশ ও আতঙ্কে রয়েছি। বিষয়টি সবার জন্যও অত্যন্ত হতাশাজনক বলে আমি মনে করছি।
তিনি বলেন, আমার ভাই ফয়সালের মতো একজন বঙ্গবন্ধু প্রেমী নেতার উপর গুলিবর্ষণকারীরা গ্রেফতার না হওয়াটা সবার কাছে নীতিবাচক হয়ে ধরা দিয়েছে। এতে করে সন্ত্রাসীর আরো বেপরোয়া হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজপথের কর্মীদের হামলায় দ্বিধা করবে না। যার ফলে ত্যাগী নেতারা রাজনীতি থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করছি আমার ভাইয়ের উপর গুলিবর্ষণকারী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী মোবারকসহ সব সন্ত্রাসীদের শিগগিরই গ্রেফতার করা হোক। না হয় ফয়সালের রাজপথের সহযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোবারক শুধু সন্ত্রাসী নয়। সে একসময় ৬নং এলাকাস্থ ডিজিএফআই অফিসের সামনে প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণ করেছিল এবং পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের গত উপ-নির্বাচনে সন্ত্রাসী মোবারকের নেতৃত্বেই প্রার্থী জসিমের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা হয়েছিল। শুধু তাই নয়; সে একজন বড়মাপের ইয়াবা ব্যবসায়ীও। তার নেতৃত্বে বিশাল সিন্ডিকেট কক্সবাজার শহরের প্রতিটি স্পটে খুচরাভাবে ইয়াবা ব্যবসা করে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আজাদ বাবু, মারুফ ইবনে হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগের সভাপতি মইন উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিফ কবির, জেলা ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, ত্রাণ ও দূর্যোগ সম্পাদক আলী আরফান খান আলিফ, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক তাহসিন আলম সাদ, কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা জাকের হোসাইন, কক্সবাজার সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সায়দুর রহমান রিফাত। এছাড়াও জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।