২০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২১ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

জঙ্গিরা ইসলামের নয়

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উলামা-মাশায়েখ মহাসম্মেলন মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পবিত্র কাবা শরিফের ইমাম, খতিব ও ভাইস প্রেসিডেন্ট শায়খ ড. মুহাম্মদ বিন নাসির, মদিনার মসজিদে নববীর সিনিয়র ইমাম ও খতিব শায়খ ড. আবদুল মহসিন। ছবি : বাসস

অ- অ অ+
জঙ্গিবাদের একাধিক ঘটনায় আক্রান্ত বাংলাদেশে এসে ইসলামের সঠিক দিকনির্দেশনা দিলেন সৌদি আরবের মসজিদুল হারাম ও মসজিদ-ই-নববীর ভাইস প্রেসিডেন্ট শায়খ ড. মুহাম্মদ বিন নাসির আল খুজাইম এবং মদিনার মসজিদ-ই-নববীর ইমাম ও খতিব শায়খ ড. আবদুল মুহসিন বিন মুহাম্মদ আল কাসিম। তাঁরা বললেন, ইসলামে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করা বড় অপরাধ। কেননা ইসলাম ধর্ম জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস থেকে মুক্ত। যারা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসে লিপ্ত তাদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলাম বিশ্বের সব মানুষের মানবতার ধর্ম।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত উলামা-মাশায়েখ

মহাসম্মেলনে দুই ইমাম এ কথা বলেন। তাঁরা ইসলামী সমাজব্যবস্থার নানা দিক তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ সফল উল্লেখ করে এর প্রশংসা করেন।

মক্কা-মদিনার ওই দুই ইমামের দেওয়া দিকনির্দেশনার কথা তুলে ধরে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

মক্কা-মদিনার ইমামদের আরবিতে দেওয়া বক্তব্য তাত্ক্ষণিক বাংলায় অনুবাদ করে শোনানো হয়। সারা দেশ থেকে আসা আলেম-উলামা, ইমাম, মুসল্লিরা একাগ্রচিত্তে তাঁদের বক্তব্য শোনেন।

মুসলমানদের উদ্দেশে মহাসম্মেলনের বিশেষ অতিথি মসজিদুল হারাম ও মসজিদ-ই-নববীর ভাইস প্রেসিডেন্ট শায়খ ড. মুহাম্মদ বিন নাসির আল খুজাইম বলেন, ‘হে মুসলমান ভাইয়েরা, নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা ইসলামে বড় অপরাধ। আমরা নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করতে পারি না। কোনো মুসলমানকে কোনো মুসলমান হত্যা করতে পারে না। বিধর্মীকেও অন্যায়ভাবে হত্যা করতে পারে না। ’ বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হওয়ার আশা প্রকাশ করে মক্কার এই খতিব বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ছে। এই লড়াই আরো কার্যকরভাবে চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি, তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন। ’

মুহাম্মদ বিন নাসের আল খুজাইম বলেন, অন্যায়ভাবে হত্যা করলে হাশরের ময়দানে জাহান্নামের আগুন রয়েছে। এ আগুন থেকে কেউ তাকে বাঁচাতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘ওই ব্যক্তিদের হত্যা করা যাবে না, যারা মুসলমানদের দেশে বাস করে এবং বিধর্মী। তাদের জানমালের দায়িত্বও আল্লাহ মুসলমানদের দিয়েছেন। ’ তিনি আরো বলেন, ‘আজকাল দেখছি মুসলমানরা মুসলমানদের হত্যা করছে, রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে, এদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। মুসলমান মুসলমানকে হত্যা করতে পারে না। ’

মক্কার এই খতিব বলেন, যারা মানুষ হত্যা করে তাদের জন্য জাহান্নাম রয়েছে। যারা দেশের শান্তি বিনষ্ট করতে চায়, দেশে অশান্তি নিয়ে আসতে চায়, যারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত তারা জাহান্নামে যাবে। মনে রাখবেন, ইসলামে করেকটি হারাম কাজের মধ্যে রয়েছে মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো, সন্ত্রাস-জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালানো। যারা এগুলো করে তাদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই।

খতিব আরো বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইসলামের সঙ্গে সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সুতরাং আমাদের ইসলামকে মজবুত করার জন্য ইসলামের তালিমকে মজবুত করতে হবে। যারা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্তিক তাদের সহায়তা করতে হবে। ’ তিনি বলেন, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে ছাত্রদের গুমরাহ করার জন্য দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়. তাদের বলুন, তাদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই।

মুহাম্মদ বিন নাসের আল খুজাইম বলেন, ‘সৌদি আরবের বাদশাহ প্রতিজ্ঞা করেছেন ইসলামের নামে যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ছড়ানো হচ্ছে তাদের মুখোশ খুলে দেবেন। পুরো প্রচেষ্টা সৌদির পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে। আমরা দিনরাত পরিশ্রম করছি সৌদি বাদশাহর নেতৃত্বে। বিশ্বে আমরাই সর্বপ্রথম দেশ যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছি। ’

তিনি বলেন, যারা ইসলামের নামে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তাদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলামের সঙ্গে দূরের কোনো সম্পর্কও নেই। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে যে কয়েকটি দেশ সফলতা দেখিয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান মক্কার এই খতিব। তিনি বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) দুই দেশের সম্পর্ক স্থাপনে অনেক উত্তম পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমার বিশ্বাস এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপিত হবে। ’

মহাসম্মেলনের আরেক বিশেষ অতিথি মদিনার মসজিদ-ই-নববীর ইমাম ও খতিব শায়েখ ড. আব্দুল মুহসিন বিন মুহাম্মদ আল কাসিম বলেছেন, আমাদের ধর্ম পবিত্র ও শান্তির ধর্ম। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলাম ভ্রাতৃত্ব, শিক্ষা ও একে-অন্যকে শ্রদ্ধা করার শিক্ষা দেয়। মিলেমিশে থাকার শিক্ষা দেয়। তিনি বলেন, পবিত্র কোরআন আমাদের শিক্ষা দিয়েছে ঐক্যবদ্ধভাবে জীবন যাপন করার। যিনি দেশ চালাচ্ছেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁর হাতকে মজবুত করা ইসলামের নির্দেশ। ইসলাম এমন একটি ধর্ম, যেটা বোঝা ও আমল করা সবার জন্য অতি সহজ। ইসলাম বিশ্বের সব মানুষের মানবতার ধর্ম। ইসলাম ক্ষমা করার ধর্ম।

মদিনার এই ইমাম বলেন, ইসলাম হচ্ছে বিধর্মীদেরও মহব্বত করা, এতিম, অসহায়দের সাহায্য করা। এভাবে আমরা আমল করলে আমাদের ইসলাম উন্নতির দিকে ধাবিত হবে। তিনি বলেন, ইসলাম কোনো যুগের বিপক্ষে নয়। সুশৃঙ্খলভাবে জীবনযাপনের শিক্ষা দিয়েছে। আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা মুসলমান। কোনো দেশ, কোনো সমাজ ও কোনো সীমানা আমাদের বিভক্ত করতে পারে না। যেখানেই থাকি না কেন, আমাদের বড় পরিচয় আমরা মুসলমান।

শায়েখ ড. আব্দুল মুহসিন বিন মুহাম্মদ আল কাসিম বলেন, আজকের এ সম্মেলন ইসলামের সঠিক চেহারা তুলে ধরবে। এটি বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক আগামীতে আরো মজবুত করবে।

ইসলামের সঠিক বার্তা নিয়ে গেলেন উলামা, মাশায়েখ, ইমাম ও মুসল্লিরা : জঙ্গিবাদ নির্মূলে সৌদি আরবের দুই প্রধান মসজিদের ইমামের বার্তা নিয়ে দেশের গ্রামে গ্রামে পৌঁছেছেন উলামা, মাশায়েখ, ইমাম ও মুসল্লিরা। ৬৪ জেলা থেকে গতকাল এ মহাসম্মেলনে এসেছিলেন দেশের আড়াই লাখ উলামা-মাশায়েখ।

গত বছর ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর বেশ কিছুদিন বিরতি দিয়ে চলতি বছর মার্চে আবার শুরু হওয়া জঙ্গি তত্পরতার প্রেক্ষাপটে এ সম্মেলন বাড়তি গুরুত্ব বহন করে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী বার্তা প্রচারে আরো উৎসাহ ও উদ্যম নিয়ে ফিরেছেন ইমামসহ আয়োজক সংগঠনের শিক্ষকরা।

সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কমপক্ষে ৭৬ হাজার শিক্ষক, তাঁদের সঙ্গে এসেছিলেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি। এতেই দেখা গেছে সমাবেশে অংশ নিয়েছেন এক লাখ ৫২ হাজার প্রতিনিধি। এর বাইরেও বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছিলেন ইমামসহ অন্যরা।

দুপুরে সমাবেশস্থলের দিকে যেতে যেতে চোখে পড়ল শাহবাগ মোড় থেকে টিএসসিমুখী সড়কের দুই ধারেই উলামা-মাশায়েখদের ভিড়। কেউ একা বা কেউ দল বেঁধে ছুটছিলেন। কেউ শুনছিলেন দূরের মাইক থেকে ভেসে আসা বক্তব্য।

সমাবেশস্থলে ঢোকার অনুমতি থাকলেও ভিড়ের জন্য অনেকে ঢুকতে পারেননি। তাঁদের একজন আবুল হোসেন মোল্লা। টিএসসিতে রাজু ভাস্কর্য থেকে একটু দূরে পথের ওপর দাঁড়িয়ে অন্য অনেকের মতো আগতদের ছবি তুলছিলেন। ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন থেকে আসা এই আবুল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘সমাবেশে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য শুনছি—ইসলাম কখনো জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের পক্ষে নয়। আমি এলাকায় গিয়ে সে কথাই সবাইকে বলব। ’

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে এসেছিলেন মো. আবুল কালাম আজাদ। মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা প্রকল্পের সঙ্গে তিনি যুক্ত আছেন। স্থানীয় চাকশামোড় পাড়া ক্ষিরার আড়ত মসজিদে প্রতি শুক্রবার জুমার সময় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এটি আরো জোরদার হবে।

বরগুনা সদর থেকে প্রায় এক হাজার জনের সঙ্গে সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য এসেছিলেন মাওলানা মোজ্জাম্মেল হক। টিএসটি মোড়ের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘এর আগে ইজতেমায় অংশ নিতে ঢাকায় এসেছিলাম। এবার এ সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার দুপুর ১টায় একটি লঞ্চে রওনা করে আজ দুপুর ১টায় এসেছি। ’ তিনি বলেন, ‘ইসলাম সন্ত্রাস সমর্থন করে না। দেশকে জঙ্গিমুক্ত রাখতে আমরা সবাই আরো নতুন উদ্যমে কাজ করব। ’

কুমিল্লার কোটবাড়ী থেকে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে সমাবেশে অংশ নিতে এসেছিলেন মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি স্থানীয় জনশপুর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক। বললেন, কুমিল্লা টাউন হলের সামনে থেকে ছয়জন এসেছেন বাসে করে। ইসলামের শান্তির বাণী পৌঁছে দেওয়া বড় দায়িত্ব বলে তিনি মনে করেন।

মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে চেম্বার আছে চিকিৎসক মাওলানা শাহীনের। মক্কা ও মদিনা থেকে অতিথিরা কী বক্তব্য দেন তা শুনতে ও তাঁদের স্বাগত জানাতে তিনি সমাবেশে এসেছেন জানিয়ে বলেন, ‘মক্কা ও মদিনার ইমামকে দেখতেই এখানে এসেছি। ’

ছিল নিরাপত্তার কঠিন বলয় : সম্মেলনস্থলে ঢোকার পথে পথে ছিল আর্চওয়ে গেট। পথের দুই পাশে, বিভিন্ন পয়েন্টে ছিল পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি। গাড়িতে টহল চলছিল। ছিল স্থানে স্থানে তল্লাশি, সিসিটিভি। তিনটি অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল পরিস্থিতি। আর সমাবেশস্থলের এক কিলোমিটার এলাকা ঘিরেই ছিল নিরাপত্তার বলয়। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল সোয়াট ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।

সমাবেশে দূর-দূরান্ত থেকে আসা উলামাদের সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশ করানো এবং সমাবেশের পর তাঁদের শৃঙ্খলার সঙ্গে ফিরতে নেওয়া হয়েছিল বিশেষ ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘উলামা-মাশায়েখদের এই মহাসমাবেশকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকায় কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছিল। ’

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, উলামা-মাশায়েখদের মহাসমাবেশ ঘিরে যাতে কোনো ধরনের নাশকতার ঘটনা না ঘটে সেদিকে বেশি নজর রাখা হয়েছে। এ কারণে শাহবাগ থেকে মত্স্য ভবন পর্যন্ত রাস্তায় হাঁটা লোকজনের চলাচল সীমিত করা হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।