প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, যে সকল এমপির এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা নেই, জনপ্রিয়তা নেই, যারা তৃণমূল নেতাকর্মীদের দ্বিধা-বিভক্ত করেছেন, ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে এলাকার জনগণের অভিযোগ রয়েছে তারা মনোনয়ন পাবেন না।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনির্ধারিত আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্য মন্ত্রীও তার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন। মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের সঙ্গে আলাপকালে তারা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নেবে। চারিদিক দিয়ে হিসাব-নিকাশ করে এই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে। মন্ত্রী ও এমপিদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, দলকে তৃণমূল পর্যায়ে আরো সুসংগঠিত করে তুলতে হবে। কোনো কোনো জায়গায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে এমপি মন্ত্রীদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এই দূরত্ব দ্রুত ঘোঁচাতে হবে। তা না হলে আপনারা (এমপি-মন্ত্রী) ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বর্তমানে এমপি আছেন, তারা নিশ্চিত মনোনয়ন পাবেন, এমন ধারণা নিয়ে থাকলে ভুল করবেন। কারণ আগামী নির্বাচন ২০১৪ সালের মতো হবে না। যারা এলাকার জনগণের জন্য কাজ করেছেন জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন তাদেরকেই মনোনয়ন দেয়া হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দলের অনেক নতুন এমপি আছেন। যারা ভোট কি তা জানেন না। তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলাকায় যান, জনগণের পাশে দাঁড়ান। তাদের কী অসুবিধা আছে তা জানুন। তাদের সমস্যার সমাধান করুন। নিজের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। কী করলে ভোটাররা আকৃষ্ট হন, সে কাজ করতে হবে।
আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী জরিপের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, জরিপের ফলাফলে যারা ভালো করবেন, তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরতে এমপি-মন্ত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সূত্র জানায়, বিএনপির ‘ভিষন-২০৩০’ ঘোষণা প্রসঙ্গে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগেরটা অনুসরণ করে তারা নিজেদের ভিশন ঘোষণা করেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।