গত ২৭ এপ্রিল তারিখে একটি জাতীয় পত্রিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়, তাতে তিনি উল্লেখ করেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ করাই যোগ্যতা” এবং তার একদিন পরে গত ২৮ এপ্রিল একটি অনলাইন পোর্টালকে বলেন, “পুরান ঢাকায় শিক্ষার্থীদের জন্য জবির উদ্ধারকৃত নিজস্ব জায়গা গুলোতে আর কোন হল হবে না”। এই বক্তব্য প্রত্যাহার ও হল নির্মাণের দাবিতে আজ বেলা ১২ টায় ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যেগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ভাস্কর্য চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সার্বজনীন ক্যাম্পাস ও পুরান ঢাকায় উদ্ধারকৃত পুরাতন হলের জায়গায় নতুন হল নির্মাণের দাবিও জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাদাগাদি করে মেসে থেকে, দুপুরে ক্যান্টিনের পঁচা খিচুড়ি খেয়ে, টিউশনি করিয়ে পড়া লেখা করে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের পরেও উপাচার্যের এই ধরণের বক্তব্য মেনে নেওয়া যায়না।
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মিফতাহ আল ইহসান, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের এম এন জুনায়েদ, দর্শন বিভাগের নাহিদ ফারজানা মীম, রাকিবুল রউশনসহ আরও অনেকেই।
সভাপতির বক্তব্যে রুহুল আমিন বলেন, এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে জবি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাহিরেও ছাত্রলীগ পরিচয় ছাড়া চাকরি পাবেনা। আমাদের বাগানবাড়ি দরকার নেই, মাথা গুজার ঠাই দরকার, তাই, জবির পুরাতন হলের জায়গাতেই শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ করতে হবে।
এছাড়া সমাবেশ থেকে জবি প্রশাসনকে সময় বেধে দিয়ে বলা হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যের বক্তব্য প্রত্যাহার করে পুরাতন হলের স্থানে নতুন হল নির্মাণের ঘোষণা দিতে হবে, না হলে আগামী ৭২ ঘণ্টা পর বুধবার সকাল থেকে প্রতিটি বিভাগে বিভাগে প্রচার অভিযান কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আরও বৃহৎ কর্মসূচি পালন করা হবে। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।