জম্মুতে সব ধরণের নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।যদিও কাশ্মীর উপত্যকা এখনও অবরুদ্ধ করে রেখেছে ভারতীয় প্রশাসন।
বুধবার রাজ্যটির উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা মুনির খানের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। এই থমথমে পরিস্থিতিতেও উপত্যকায় বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জম্মু-কাশ্মীর থেকে পর্যায়ক্রমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার ঠিক একদিন পরই জম্মুতে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
গত ৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদির সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ) বাতিল করে দিয়েছে। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি অঞ্চল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হয়েছে।
কাশ্মীরী সংগঠনগুলো বলেছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের অর্থ হলো সেখানকার অধিবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। আইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপত্যাটিকে কয়েক দিন আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
বিক্ষোভ ঠেকাতে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে হিমালয় অঞ্চলটির সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘোষণাকে সামনে রেখে কাশ্মীরের ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
এই মুহূর্তে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর বিশ্বের সবচেয়ে সামরিকীকৃত এলাকায় পরিণত হয়েছে। সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্য মিলিয়ে সেখানে ৭ লক্ষাধিক নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
অস্থায়ী কারাগার বানানো হয়েছে হোটেল, গেস্ট হাউস, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ভবনকে। কাশ্মীরের পুরো উপত্যকাটি যেন পরিণত হয়েছে একটি কারাগারে।
শ্রীনগরে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্যটির উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা মুনির খান বুধবার বলেন, ১০ দিন আগে কাশ্মীরের ওপর আরোপ করা ব্যাপক নিরাপত্তা কড়াকড়ি জম্মু থেকে তুলে নেয়া হয়েছে।
তবে কাশ্মীর উপত্যকায় অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই কড়াকড়ি আরোপিত থাকবে। এসময় কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি জানান, এই মুহূর্তে আমাদের মূল লক্ষ্য হল রাজ্যজুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিশ্চিত করা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।