প্রথমবারের মতো সারাদেশে ৬১টি জেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের পরিবর্তে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট জেলার ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিতে পারবেন। সে হিসেবে নির্বাচনে সারাদেশে প্রায় ৬৩ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আর নির্বাচন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় মুখোমুখি অবস্থানে আছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ভোটগ্রহণের সময় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের উত্তেজনা। প্রকাশ্যে ভোট না দিলে হুমকি দিচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোট কেনার নামে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অল্পসংখ্যক ভোটার হওয়ায় প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে মোটা অঙ্কের টাকাসহ উপহার-উপটৌকন বিতরণ করছেন। নির্বাচন ঘিরে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না ইসি এমন অভিযোগ রয়েছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা পরিষদের বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের কাছে ছুটে চলেছেন। স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ আসছে নির্বাচন কমিশনে।
এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে ব্যালট, বাক্সসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসি। নিয়োজিত রয়েছেন পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রয়োজনীয় মনিটরিং করছে ইসি। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ গতকাল মঙ্গলবার বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে। শুধুমাত্র জনপ্রতিনিধিরাই এতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
তিনি জানান, কয়েকজন প্রার্থী ও সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা নিজ এলাকায় গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। মৌখিক ও লিখিত আকারে আমরা এমন অভিযোগ পেয়েছি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।