২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

জেলা সদর হাসপাতালে কনসাল্টটেন্ট রেডিওলজিষ্ট না থাকায় মহা বিপাকে রোগীরা

sodor hospital
ককসবাজারবাসীর চিকিৎসার জন্য শেষ ভরসা জেলা সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোন কনসালটেন্ট রেডিওলজিষ্ট না থাকায় প্রতিনিয়ত শত শত রোগী গুরুত্বপুর্ণ অালট্রসনোগ্রাফী পরীক্ষা করতে না পেরে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।সরেজমিন,অনুসন্ধানে ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলার ২৩ লক্ষ মানুষের উন্নত চিকিৎসার জন্য শেষ ভরসা ২৫০ বেডের জেলা সদর হাসপাতালও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কনসাল্টটেন্ট রেডিওলজিষ্ট,অধ্যাপক,সহযোগী অধ্যাপক,সহকারী অধ্যাপক,প্রভাষক মিলে ৬ টি পদ থাকলেও মেডিকেল কলেজে মাত্র ১ জন সহকারী অধ্যাপক রেডিওলজি অাছেন।যিনি ইতি পুর্বে সদর হাসপাতালে জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট ( রেডিওলজি) হিসেবে   কর্মরত ছিলেন তখন সদর হাসপাতালে দৈনিক ৪০/৫০ জন রোগীর অালট্রাসনোগ্রাফী করতেন।বর্তমানে ডা,লামারী নামের এক ট্রেনিং প্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার তার দায়িত্বের পাশাপাশি কিছু কিছু অালট্রসনোগ্রাফী করছেন।কিন্তু বিশেষঞ ডাক্তারদের কাছে এফসিপিএস রেডিওলজিষ্ট ছাড়া অন্যদের রিপোর্ট নির্ভর যোগ্য হয়না।ককসবাজারে একমাত্র কনসাল্টটেন্ট রেডিওলজিষ্ট ডা,ওসমানুর রশিদ মেডিকেল কলেজে বদলী হওয়ার তাকে ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাসে সময় দিতে হওয়ায় সদর হাসপাতালের রোগীদের অালট্রসনোফী করার জন্য অার কেউ নেই।তাই দরিদ্র রোগীরা প্রাইভেট হাসপাতালে বেশী টাকা দিয়ে অালট্রাসনোগ্রাফী করতে গেলেও ডা,ওসমানুর রশিদের নির্ভূল রিপোর্টের চাহিদা বেশী থাকায় তাকে দিয়ে অালট্রসনোফীর করাতে সিরিয়াল পেতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।পর্যটন নগরী ককসবাজারে জেলা সদর হাসপাতাল ছ্ড়াও ৮/১০টি হাসপাতাল,ক্লিনিক,ল্যাব রয়েছে।ঔ সকল হাসপাতালে ক্লিনিকের ডাক্তারদের এডভাইস অনুযায়ী করা সকল xry রিপোর্ট,সিটি এসকেনিং রিপোর্ট,অাইভিউ রিপোর্ট,অালট্রাসনোগ্রাফীসহ সব কিছু একমাত্র রেডিওলজিষ্ট ডা,ওসমানুর রশিদকেই করতে হয়।যার ফলে ইচ্ছা থাকার পরও এতসব তার পক্ষে করা কষ্টকর।সদর হাসপাতালে রেডিওলজিষ্ট না থাকায় ২৫০ বেডের হাসপাতালে দ্বিগুণ ভর্তি রোগী,বর্হি বিভাগের রোগীদের পরীক্ষা না হওয়ায় রোগীদের হয়রানির কথা স্বীকার করেন সদর হাসপাতালের তত্তাবধায় ডা,এসএম অাবু সাঈদ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও সার্জন জানান,রোগীদের কিটনি,লিভার,এপেন্ডেসাইটিস,টিউমার,পাথরসহ অনেক জঠিল সমস্যা নির্ণয়ের অন্যতম মাধ্যম হল অালট্রসনোগ্রাফী অার xry যেসব পরীক্ষার রিপোর্টের উপর এর একজন রোগীর বাচা মরা নির্ভর করে তাই ওসানুর রশিদের রিপোর্ট ছাড়া সিদ্ধান্ত যাওয়া সম্ভব হয়না।রোগীদের কষ্ট,সময় নষ্ট সব কিছু বুঝতে পারার পরও অার কোন রেডিওলজিষ্ট না থাকায় অভিঞও দক্ষ রেডিওলজিষ্ট ওসমানুর রশিদকে দিয়ে পরীক্ষা ও রিপোর্ট করাতে হয়।ব্যাপক চাহিদা, সদর হাসপাতালও মেডিকেল কলেজে পদ খালী থাকার পরও কনসাল্টটেন্ট রেডিওলজিষ্ট পদায়নে কতৃপক্ষের অান্তরিক সুদৃষ্টি কামনা করেন মৌলিক চাহিদা চিকিৎসা সেবা বঞিত জেলাবাসী।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।