ডাব ব্যবসায়ীদের গলাকাটা বাণিজ্যের শিকার হচ্ছে জেলার গৃহস্থ সমাজ। গ্রাম থেকে নাম মাত্র মূল্যে ডাব কিনে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার জেলাশহর, বিভিন্ন উপজেলা শহর ও মফস্বল বাজারে । কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফ ও সদর উপজেলায় প্রায় গৃহস্থবাড়িতে রয়েছে নারিকেল গাছ। সমুদ্রের লবণাক্ত আবহাওয়ায় এসব গাছে ভালই ফলন হয়। সদ্যসমাপ্ত শীতের পর গত কয়েক দিনে গরম বাড়ার সাথে সাথে জেলাব্যাপি গ্রাম-গ্রঞ্জে ডাব বিক্রির হিড়িক পড়েছে। বর্তমানে প্রতিযোগীতা মূলক ভাবে বাড়ছে কচি ডাবের বিকিকিনি। ভ্রাম্যমান ক্রেতারা রিকশাভ্যান নিয়ে পাড়া-মহললা – গ্রামের সড়ক ও মেঠো পথে ঘুরে ঘুরে গৃহস্থ বাড়ী সংলগ্ন নারকেল গাছ থেকে ডাব কিনে নিচ্ছে। ক্রেতারা নিজেই দড়ি ও দাঁ নিয়ে গাছে উঠে ডাব পেড়ে নিচ্ছে ও সংগৃহিত এসব ডাব কক্সবাজার জেলাশহর, চকরিয়া, আমিরাবাদ, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে পাইকারী সরবরাহ দিচ্ছে। বাজারে প্রচলিত বোতল ও টিনজাত কেমিক্যালযুক্ত বিভিন্ন পানিয়ের পরিবর্তে শতভাগ প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ কঁচিডাব ভোক্তাদের খুবই পছন্দ বলে জানিয়েছেন ডাব ব্যাবসায়ীরা। তাই ক্রেতাদের এ চাহিদা মেটাতে গ্রাম থেকে হাজার হাজার ডাব প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন শহরে। কাঠফাটা গরমে তৃঞ্চা মেটাতে ডাবের পানি উপদেয় বলে জানান একাধিক গ্রাহক। ভোক্তদের এ চাহিদাকে পুঁজি করে প্রতিটি ডাবের দাম ২৫/৩০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে বিভিন্ন শহর-বন্দরে। অথচ গ্রামের গৃহস্থদের থেকে ডাব কেনা হচ্ছে প্রতিটি মাত্র ১০/১২ টাকা হারে। এভাবে গলাকাটা বাণিজ্যের শিকার হচ্ছে গ্রামের গৃহস্থ ও শহরের ক্রেতারা। মাঝখান দিয়ে মধ্যস্বত্ত্ব ভোগী দালাল-ফাঁড়িয়া ব্যাবসায়ীরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে। ডাব ব্যবসায়ী আবদু শুক্কুর, ফজল করিম, শবেমেরাজের মতে, ৪/৫ মাস আগে থেকেই বিভিন্ন গৃহস্থকে ডাবের জন্য দাদন দিয়ে রেখেছে, তাই এখন গৃহস্থরা নিজ থেকেই ডাবের দাম কমিয়ে রাখছেন। অপর আরেক ডাব ব্যবসায়ীর মতে, এভাবে গাছ থেকে কঁচি ডাব ব্যাপক হারে পেড়ে নেয়ার ফলে ভবিষ্যতে নারকেলের সংকট দেখা দেয়ার আশংকা রয়েছে।
ফাইল ছবি
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।