২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়

জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের যাত্রী দুভোগ চরমে : আটকা পড়েছে পর্যটক


বাসচালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের প্রতিবাদে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে জেলাব্যাপী সর্বস্তরের মানুষকে। মঙ্গলবার ভোর ৬ টা থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘট আজ বুধবার ও বহাল রয়েছে। শ্রমিক নেতাদের মতে দাবী আদায় না হওয়া অবধি পরিবহন ধর্মঘট বহাল থাকবে। এদিকে মঙ্গলবার থেকে দুরপাল্লার কোন বাস শহর ছাড়তে দেখা যায় নি। ফলে আটকে পড়েছে ভ্রমণে আসা হাজার হাজার পর্যটক ।

সরেজমিনে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়টি অনেকেই অবগত না থাকায় সকাল থেকে যাত্রীরা বাসস্ট্যান্ডে ভিড় জমাতে থাকে। এতে কাউন্টারের সামনে যাত্রীরা বাসের অপেক্ষায় বসে আছেন। টার্মিনালের অধিকাংশ বাস কাউন্টার খোলা থাকলেও সেগুলো থেকে কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। হঠাৎ করে ডাকা ধর্মঘটের কারণে যাত্রীদের গাড়ির জন্য দিক বেদিক ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে ।
এদিকে বিভিন্ন জায়গায় চলাচলরত সিএনজি, মাইক্রো পরিবহন শ্রমিকরা থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া চলাচলরত গাড়ি গুলো অতিরিক্ত হারে ভাড়া আদায় করছে বলে জানান কয়েকজন যাত্রী।

কাউন্টারে ম্যানেজারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাকে সাড়া দিয়ে কোন দুরপাল্লার বাস চলাচল করছে না। সকাল থেকে একটি গাড়িও টার্মিনাল ছেড়ে যায় নি। অগ্রিম টিকেট কিনেছিলেন তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে। তারা বলেন, দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে তাই সড়কে কোন গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের দাবী আদায় হওয়া অবধি ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন বলে জানান তারা।

বাসটার্মিনালে ঢাকা থেকে আসা কয়কজন পর্যটকের সাথে কথা বলে জানা যায়, পরিবহনের ধর্মঘটের কারণে কক্সবাজার থেকে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছুটি শেষে এখন তারা কিভাবে অগন্তব্য স্থলে পৌঁছাবে সেটা দুশ্চিন্তার কারণ হিয়ে দাঁড়িয়েছে। ধর্মঘটের কারণে তাদের চরমভাবে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
কক্সবাজার থেকে সিএনজি নিয়ে টেকনাফ যাওয়া মাজেদ বলেন, স্পেশাল সার্ভিস চলাচল না করায় সিএনজি সহকারে টেকনাফ যাচ্ছি কিন্তু পথিমধ্যে পরিবহন শ্রমিকরা গাড়ি থামিয়ে নামিয়ে দিয়েছে। ফলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো কষ্ঠদায়ক হয়ে পড়েছে। পরিবহন শ্রমিকদের অনেক অনুরোধ করলে তারা শুনছেন না।
উখিয়ার আড়ত ব্যবসায়ী জাফর সওদাগর বলেন, প্রতিদিন কাঁচামাল এবং পাকা উভয় ধরনের মালবোঝাই ট্রাক আসে। এখন ধর্মঘটের ফলে কাঁচামালের ট্রাক পৌছাঁতে না পারলে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

কোটবাজার ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ শাহজাহান জানান, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারাদেশ বাস ট্রাকসহ সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে এক জেলার সঙ্গে অন্য জেলার যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকা-মানিকগঞ্জের জোকা এলাকায় চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের একটি বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে চলচিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত চালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।