নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বড় ব্যবধানেই হেরেছিল বাংলাদেশ। সেদিন ম্যাচ শেষে বোলারদের ব্যর্থতার কথাই বলেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বোলাররা। স্বাগতিকদের বড় সংগ্রহ করতে দেয়নি টাইগাররা। মাশরাফি-তাসকিন-সাকিবদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২৫১ রানেই বেঁধে ফেলেছে কিউইদের।
বৃহস্পতিবার নেলসনের সেক্সটন অভাল স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। ইনিংসের প্রথম ওভার করতে গিয়ে মার্টিন গাপটিলকে তুলে নিয়ে দারুণ সূচনা এনে দেন তিনি। লেগ ও মিডেল স্ট্যাম্পের করা বলটি খেলতে গিয়ে মিস করলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন গাপটিল। এরপর দলীয় ৩৭ রানে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ফেরান তাসকিন আহমেদ।
দলের রান আর ১০ যোগ করতে গিয়ে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান টম লাথামকে হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। লাথামকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। লাথাম রিভিউ নিলেও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পক্ষেই থাকে।
লাথামের বিদায়ের পর জেমস নিশামকে নিয়ে দলের হাল ধরেন নেইল ব্রুম। চতুর্থ উইকেট ৫১ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা। তবে ২৩তম ওভারে নিশামকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক। এরপর দলের রান আরও ৯ যোগ করতেই স্বাগতিকদের আবারও চাপে ফেলে দেন মাশরাফি। আগের ম্যাচে বিধ্বংসী ইনিংস খেলা কলিন মুনরোকে ফেরান তিনি।
এরপর লুক রঞ্চিকে নিয়ে দলের ইনিংস মেরামতের কাজ চালিয়ে যান ব্রুম। ষষ্ঠ উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন এ দুই ব্যাটসম্যান। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠা এ জুটি ভাঙ্গেন তাসকিন আহমেদ। রঞ্চির বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কিউইরা। ফলে ২৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি।
তবে এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্রুম। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৯ রান করেন এ ব্যাটসম্যান। ১০৭ বল মোকাবেলা করে নিজের ইনিংসটি সাজান ৮টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে। ৩৮ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রঞ্চি। এছাড়া নিশাম ২৮ ও লাথাম ২২ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে ৪৯ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি। এছাড়া তাসকিন ও সাকিব ২টি করে উইকেট পান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।