পরকিয়ার ফাঁদে ভাংছে অনেক সংসার। পাশাপাশি খুন হচ্ছে কত স্বামী কিংবা স্ত্রী। ক্ষতি হচ্ছে স্বামীর অর্জিত দামী সম্পদসহ টাকা পয়সা। এরপরও থামছেনা পরকীয়া। অনেক সময় দেখা গেছে স্বামী পাশেই আছে তারপরও স্ত্রী পরকিয়ায় আসক্ত। আবার অনেক সময় দেখা গেছে স্বামী বিদেশে স্ত্রী পরকিয়ায় আসক্ত। কিন্ত আবার সমাজে এমনও দেখা গেছে টাকার লোভে প্রতারণা করে নিজের স্ত্রীকে অস্থায়ী বিয়ে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নিজের স্বামী। যা সমাজে বিরল। এমন এক ঘটানা ঘটেছে শহরের সমিতি পাড়ায়।
জানা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ব্রাহ্মনকাটা এলাকার মৃত মমতাজ আহমদের ছেলে জসিম উদ্দিন নিজের স্ত্রীকে নিয়ে তার মাসহ পরিবারে সকলেকে নিয়ে সমিতিপাড়ায় একটি জায়গা কিনে ঘর তৈরী করে বাসবাস শুরু করে। স্থানীয়দের মতে, ওই লম্পট জসিমের ব্যবসাা হচ্ছে হেরোইন বিক্রির পাশাপাশি পতিতাবিত্তি। নিজের স্ত্রীকে দিয়ে শহরের বিভিন্ন হোটেলে পতিতাবিত্তি করায় ওই জসিম। কিন্তু বেশি টাকার আশায় এরই মাঝে টাকার লোভে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও পশ্চিম ভোমারিয়া ঘোনার মৃত মো: ইসমাইলের ছেলে ৬৩বছর বয়সী বৃদ্ধ কাঠ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামকে। তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় অন্তত আড়াই লাখ টাকা। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, জসিমের স্ত্রী কক্সবাজার পৌরসভার পিটি স্কুল এলাকার মাটিয়াতলির হাজী আমান উল্লাহর মেয়ে জন্নাতুল বকেয়া। বয়স আনুমানিক ২৬বছর। আট মাস আগে জসিমের সাথে বৃদ্ধ সিরাজের পরিচয় হয়। সে পরিচয়ের সুবাদে বৃদ্ধ সিরাজ, জসিমের কাছে আরেকটি বিয়ে করার প্রস্তাব রাখে। জসিম সিরাজকে বলে আমার একটা শালী রয়েছে। তুমি উচ্ছে করলে তাকে বিয়ে করতে পার। তাতে বৃদ্ধ রাজি হয়ে যায়। একপর্যায়ে জসিমের নিজের স্ত্রীকে শালী পরিচয় দিয়ে শহরের একটি হোটেলে এনে বৃদ্ধের হাতে তুলে দেয়। বৃদ্ধ তাকে দেখার পর বিয়ে করতে রাজি হয়। এরই মাঝে গত সাত মাস আগে নাটারীর মাধ্যমে ওই মহিলার নাম গোপন রেখে হাবিবা সুলতানা কলি, পিতা- আবদুস সালাম ড্রাইভার, লারপাড়া, ঝিলংজা উল্লেখ করে তাদের মাঝে বিয়ে হয়। দেনমোহর এক লাখ টাকা ধার্য্য করে আর্ধেন নগদ এবং অর্ধের বাকী রখে বিয়ে সম্পন্ন করে। বিয়ের পর তারা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বসবাস শুরু করে। বিয়ের পর তারা বিভিন্ন হোটেলে রাত্রী যাপন করতে থাকে। পরে বড়ছড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসা ভাড়া নিয়ে কিছুদিন কাটায়। কয়েক মাস আগে তারা সমিতিপাড়ার জসিমের ঘরে চলে আসে। সমিতিপাড়ায় আসার পর আবারও ওই এলাকার একজন নাম মাত্র মৌলভী তাদের নিকাহ কারান বলে তারা স্বিকার করেন। এদিকে বৃদ্ধ সিরাজ নিয়মিত থাকে তার নিজ বাড়ি ঈদগাওর বড় বউ এর কাছে। তিনি স্থায়ী ভাবে সমিতিপাড়ায় থাকে না। ২/১দিন পর সমিতি পাড়ায় আসে। সমিতিপাড়া আসলেই স্বামী হিসাবে ওই মহিলার সাথে রাত্রি যাপন করে। কিন্তু ওই বাড়ির লোকজন বৃদ্ধকে কোন ভাবেই জানতে দেয়নি ওই মহিলা জসিমের স্ত্রী। এরই মাঝে জসিম নামে বেনামে স্ত্রীর মাধমে হাতিয়ে নেয় দাফায় দফায় আড়াই লাখ টাকা। তার পরিবারের লোকজন ছাড়া এলাকাবাসীও জানতনা ওই মহিলার সাথে বৃদ্ধের বিয়ে কারার ঘটনা। পরে বৃদ্ধের টাকা যখন কমতে থাকে তখন ধীরে ধীরে দুরে সরে যেথে থাকে ওই মহিলা। এক পর্যায়ে আর বৃদ্ধকে ওই মহিলার কাছে যেথে দেয়না। ফলে ঘটনাটি এলাকায় ফাঁস হয়ে যায়। এখন বিচার নিয়ে মানুষের ধারে ধারে ঘুরছে ওই বৃদ্ধ। শেষ পর্যন্ত স্ত্রী দাবী করে মামলার প্রস্তুতী নিচ্ছেন বলে জানান ওই বৃদ্ধ। তিনি এব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এব্যাপারে ওই মহিলা জানান, সব কিছু তার স্বামী জসিমের ইশারায় করা হয়েছে। তিনি সকল ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, শুধু টাকার লোভে জসিম এ কাজ করিয়েছে। এধনরনের ঘটনা তিনি আরও করেছে বলে স্বিকার করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।