কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ৩টি পয়েন্ট দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় ৮টি নৌকায় প্রায় ৯৬ জন এবং উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারী ৪৯ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে ফেরত পাঠিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ে নাফ নদীর শূন্যরেখা ও উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে এসব রোহিঙ্গাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়।
টেকনাফে বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ জানান, নাফনদীর ৩টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাবাহী ৮টি নৌকা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় জলসীমার শূন্য রেখায় এদের ফেরত পাঠানো হয়। প্রতিটি নৌকায় ১২ থেকে ১৫ জন রোহিঙ্গা ছিল। সে হিসাবে আটটি নৌকায় ৯৬ জন রোহিঙ্গা ছিল বলে ধারণা করছেন বিজিবি’র ওই কর্মকর্তা। এ নিয়ে ডিসেম্বরের এই পর্যন্ত টেকনাফ নাফ নদীর জলসীমানায় অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে রোহিঙ্গাবাহী ২২৮টি নৌকা ফেরত পাঠানো হয়।
এদিকে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার ভোর রাত থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সময়ে উখিয়ার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৪৯জন রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি’র সদস্যরা। এরমধ্যে ১৪ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী ও ২০টি শিশু রয়েছে। এরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। এ নিয়ে চলতি মাসের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০২ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিজিবি’র ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা হয়। এতে সীমান্ত পুলিশের ১২ সদস্য নিহত হয়। এই হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করে তাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। প্রাণভয়ে রোহিঙ্গারা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।