আসন্ন টেকনাফ পৌরসভা ছাত্রলীগের কমিটিতে টেকনাফের আলোচিত জামায়াত নেতা মো. আজিজের ছেলে একাধিক মামলার আসামী ইব্রাহীম বাবলু ফের তৎপরতা শুরু করেছে।
মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে উপজেলা ছাত্রলীগের এক সিনিয়র নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা পর্যায়ের নেতাদের কাছে বায়োডাটা নিয়ে ঘুরছে । ইব্রাহীম একজন টেকনাফের আলোচিত জামায়াত নেতার ছেলে ও মামলার আসামী হওয়ায় দলের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জামায়াতের সবচেয়ে আলোচিত ক্যাডার ও ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আলবদর কমান্ডার মীর কাসেম আলীর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং মীর কাসেম আলীর মালিকানাধীন জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রোজ এর জিএম হলো মোহাম্মদ আজিজ। কিন্তুু বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৌশলে তার ছেলে ইব্রাহীমকে টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সু-কৌশলে জামায়াতের অবৈধ কর্মকান্ড স্বগৌরবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন ছক তৈরি করছে।
এদিকে টেকনাফ পৌরসভা ছাত্রলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার খবরে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে ইব্রাহিম বাবলু। একজন আলোচিত জামায়াত নেতার ছেলে কৌশলে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে তোড়জোড় শুরু করায় ত্যাগী ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ইব্রাহীমকে পৌরছাত্রলীগের কমিটিতে আনার জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে এখন মাঠে নেমেছে একটি চক্র।
অনেকেই জানান, ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। যার মামলা নং-১৩, তারিখ ৯-৮-১৩ ইং ও মামলা নং ২২, তারিখ ১০-১১-১২ ইং। একজন ওয়ারেন্টেড আসামী কোন যোগ্যতায় ছাত্রলীগের মতো ঐতিহ্যবাহি একটি সংগঠনে আসার চেষ্টা করছে। তাও আবার টেকনাফ পৌরসভার মতো একটি ইউনিটের সভাপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। একজন চিহ্নিত জামায়াত নেতার ছেলে হয়ে ছাত্রলীগের নেতা হতে কিভাবে লবিং করছে। এমনকি এই বাবলু হাতে লাঞ্চিত হয়ে রাজনীতির অঙ্গন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে টেকনাফ কলেজ ছাত্রলীগের সংগ্রামী ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও কলেজ ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল হকের মতো ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।