টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে কুপিয়ে ২ আনসার সদস্যকে রক্তাক্ত করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ২আসামীকে আটক করা হয়েছে।
গত ১৫ মার্চ দুপুরে চিহ্নিত ডাকাত সদস্য সাদেককে আটক করে আনার সময় ই-ব্লকের তার সহযোগী ডাকাত আবদুল হাফেজ (৩৫) আনসার সদস্য মোশারফ হোসেন ও হরিপদ দাশকে কুপিয়ে সাদেককে ছিনিয়ে নেয়। আনসার সদস্যরা আতœরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করলে ডাকাত আব্দুল হাফেজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় ই-ব্লকের ডাকাত রফিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাহাড়ে পালিয়ে যায় ও সি ব্লকের আব্দুল হাফেজের ভাগিনাও গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল হতে ডাকাত আব্দুল হাফেজকে আটক করে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হলে সে মৃত্যু বরণ করে। দার কোপে রক্তাক্ত আনসার সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার পর রোহিঙ্গা অপরাধীদের সঙ্গে বিশেষ মহলের দহরম-মহরম সম্পর্ক ও বেপরোয়া আনা-গোনাকে দায়ী করছে। ১৬ মার্চ গভীর রাতে নিহত ডাকাত আব্দুল হাফেজকে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। অপরাধীরা আশ্র-প্রশ্রয় পাওয়ার কারণে প্রচলিত আইন,ক্যাম্প প্রশাসনের নিয়মের তোয়াক্কাই করেনা। মুলত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় অপরাধী চক্রের যোগ-সাজশের কারণে মাঝে-মধ্যে ক্যাম্প প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্যাম্প ইনচার্জ জালাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নৃশংস ঘটনার ব্যাপারে ১১জনকে নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১০/১২জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং এই ব্যাপারে আব্দুল মোনাফ ও রশিদ উল্লাহ নামে ২জনকে আটক করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।