টেকনাফে মাদক মামলার আটক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে খোরশেদ আলম (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। তবে নিহতের পরিবারের দাবি, পুলিশের গুলিতে নিহত হন খোরশেদ।
পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় শামশুল আলম ওরফে কালা শামসু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলার রয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ সদরের হাবির ছড়া এলাকার মাদক মামলাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি শামসুল আলমকে আটক করে পুলিশ। তাকে থানায় নিয়ে আসার পথে হাবিরছাড়া এলাকায় পৌঁছালে তার লোকজন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে শামসুকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। এসময় গোলাগুলিতে আহত হন ওই তিন পুলিশ সদস্য।
ওসি বলেন, ‘দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় মানিলন্ডারিং ও মাদক মামলার পলাতক আসামি খোরশেদ আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তবে সে কাদের গুলিতে মারা গেছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটক শামসুল আলম একজন র্শীষ মাদক ব্যবসায়ী। তাদের দু’ভাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। তার বুকে বা পাশেরগুলির আঘাত রয়েছে। তবে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। আহত তিন পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজারে প্রেরণ করা হয়েছে।’
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ হাসপাতালে যান কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও উখিয়া সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ। এসময় ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এদিকে নিহত খোরশেদের পরিবারের দাবি, ‘শামসুল আলম পুলিশের হাতে আটকের খবর শুনে ব্যাডমিন্টিন খেলা শেষে ঘটনাস্থলে ভাইকে দেখতে ছুটে যান খোরশেদ আলম। এসময় পুলিশের চালানো গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় সে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।