২১ এপ্রিল, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২২ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

টেকনাফে ডুবন্ত নৌকা থেকে ৩৫ রোহিঙ্গা নারী-শিশু উদ্ধার

বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ  এলাকায় গত ১৫ অক্টোবর সর্বশেষ নৌকাডুবির ঘটনায় ১৪ মরদেহ উদ্ধারের দশদিন পার না হতেই  আবারো ডুবন্ত নৌকা থেকে ৩৫ রোহিঙ্গাকে নারী-শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।  বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভোর ৪ টার দিকে শাহপরীরদ্বীপের পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই ডুবতে ডুবতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি।
এই ঘটনায় উদ্ধার ৩৫ নারী, শিশু ও পুরুষকে স্থানীয় দাংগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। এটি ছাড়াও রোহিঙ্গা বোঝাই আরো কয়েকটি নৌকা এসেছে বলে দাবি করেছে উদ্ধার হওয়ারা।
স্থানীয় আবদুল মাবুদ ও হুমায়ুন রশীদ জানিয়েছেন, ফজরের নামাজের আগে শাহপরীরদ্বীপ এলাকায় একটি নৌকা এসে চরে আটকে ডুবে যাচ্ছে বলে খবর আসে। এটি জানার পরই লাশের মিছিল থামাতে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা ডুবন্ত নৌকাটি থেকে রোহিঙ্গা নারী-শিশুদের দ্রুত নামিয়ে আনতে সক্ষম হওয়ায় নিশ্চিত মৃত্যুরর হাত থেকে রক্ষাপায় বেশ কয়েকজন নারী-শিশু।
টেকনাফ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন খান স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিমের বরাত দিয়ে বলেন, নৌকাটি চরে এসে আটকা পড়ে ডুবে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে কূলে নিয়ে আসে।
উদ্ধার হওয়াদের বরাত দিয়ে তিনি রেজাউল করিম বলেন, রাখাইনের নাইক্যংদিয়া এলাকা দিয়ে তারা মঙ্গলবার রাতে নৌকায় উঠে। ভোরে নৌকাটি বাংলাদেশ উপকূলে আসার পর বঙ্গোপসাগরের তীরে আটকা পড়ে ডুবে যাচ্ছিল। এসময় নারী-শিশুদের শোর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে মৃত্যুরর হাত থেকে রক্ষা করেছে। 
উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মিয়ানমারের মংডুর শহরের দংখালী গ্রাম থেকে ছেড়ে আসা একটি নৌকা বাংলাদেশ সীমানায় এসে সর্বশেষ ডুবেছিল। এঘটনায় ১৪ নারী-শিশু ও পুরুষের মরদেহ পাওয়া যায়। ওই নৌকায় ৬০-৬৫ জনের মতো রোহিঙ্গা ছিল যার মধ্যে প্রায় ৩০ জন শিশু। নৌকাডুবির পর বিভিন্নভাবে জীবিত পাওয়া যায় ২১ জনকে। তার মধ্যে শিশু ছিল সাতজন। বাকিদের হদিস আর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, গত ২৯ আগস্ট থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নাফ নদী ও সাগরে রোহিঙ্গাবোঝাই ছোট-বড় ২৬টি নৌকাডুবির ঘটনায় ১৮৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮৫ জন রোহিঙ্গা। অন্যজন বাংলাদেশি নৌকার মাঝি। এদের মধ্যে ৯১টিই শিশু। নৌকাডুবি ও লাশের মিছিল থামাতে কঠোরতা অবলম্বন করছে বিজিবি, কাস্টগার্ড ও পুলিশ। এরপরও ঝুঁকিপূর্ণ নৌকা পারাপার থামছে ননা রোহিঙ্গাদের। ###

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।