টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফ বৈদ্যুতিক খুঁটিতে শর্টসার্কিট হয়ে একই পরিবারের দুইজন নিহতের ঘটনায় দায় নিচ্ছে না বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
তারা বলছে, বাতাসে খুঁটির তার ছিঁড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর দায় বিদ্যুৎ অফিসের নয়।
অন্যদিকে স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে। তারা এ দায় এড়াতে পারে না।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া এলাকায় আব্দুল আমিনের বসতঘরের টিনের চালে মেইন তার ছিঁড়ে আব্দুল আমিনের বোন রমিদা বেগম ও তার আত্মীয় কলিম উল্লাহ নিহত হন।
আরও পড়ুন: ঘরের চালে বিদ্যুতের তার, পরিবারের ২ জনের মৃত্যু, আহত ২
এ ঘটনায় আমিনের মেয়ে রোকেয়া আক্তার ও রমিদার মেয়ে নাইমা আক্তার নিহত হন। তারা মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার মো. ইব্রাহিম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে। ঢিলেঢালা তারগুলো মেরামত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদা দিলেও তাদের অবহেলা করা হয়।
অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির টেকনাফ জোনাল অফিসের ডিজিএম আবুল বাশার বলেন, ‘বাতাসে বিদ্যুতের তার আব্দুল আমিনের বাড়িতে পড়ে দুইজন নিহতের খবর শুনেছি। কিন্তু এটি একটি দুর্ঘটনা। এখানে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কী করবে।’
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল জানান, বিদ্যুৎস্পর্শে আহত দুইজনের মধ্যে ১২ বছরের কিশোরী রোকেয়ার অবস্থা গুরুতর। তার পা পুড়ে যাওয়ায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নাইমা আকতার টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
শাহপরীর দ্বীপ পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জায়েদ হাসান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।