এইবারের ধানী মৌসুমে সীমান্ত জনপদ টেকনাফে উন্নত,হাইব্রীড ও স্থানীয় ধান চাষে ভাল ফলন হওয়ায় কৃষক-কৃষানীরা খুশিতে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছে। ১০হাজার ৮শ ২৫হেক্টর জমির মধ্যে ১০হাজার ৮শ ২০হেক্টর জমিতে আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়-উপশী জাতের বিআর-১১(৫০ হেক্টর),বিআর-২৩(১০০হেক্টর),ব্রি ধান-৩২(১০০০হেক্টর),ব্রিধান-৩৩(৩০৭০হেক্টর),ব্রি ধান-৩৯(২০২০হেক্টর),ব্রি ধান-৪০(২৫০হেক্টর), ব্রি ধান-৪১(২০০হেক্টর),ব্রি ধান-৪৯(২০৭০হেক্টর),ব্রি ধান-৫১(১০০হেক্টর),ব্রি ধান-৫২(১৫০ হেক্টর),ব্রি ধান-৫৩(২১০হেক্টর),ব্রি ধান-৫৪(১৫০ হেক্টর),ব্রি ধান-৫৬(৩০হেক্টর),ব্রি ধান-৫৭(২০ হেক্টর),বিনা-৭(৩০০হেক্টর),বিনা-৯(২০হেক্টর)সহ মোট উফশী ১৫প্রজাতির ধানের মধ্যে ৯হাজার ৭শ ৪০হেক্টর,হাইব্রীড প্রজাতির এরাইজ গোল্ড(৩০হেক্টর),দেশীয় প্রজাতির লে¤ব্র“(২০০ হেক্টর), বিন্নি(৩০০হেক্টর),লাল পাজাম(৩০০হেক্টর),কালাম পাজাম(২৫০হেক্টর)সহ মোট ১০হাজার ৮শ ২০হেক্টর জমিতে ভাল ফলন পাওয়া গেছে। তম্মধ্যে হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ৫হাজার ৩শ ৮০ হেক্টরের মধ্যে শতভাগ,হ্নীলা ইউনিয়নে ১হাজার ৬শ হেক্টরের মধ্যে শতভাগ,টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ১হাজার ৩শ ৫০হেক্টরের মধ্যে শতভাগ,উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নে ১হাজার ৪শ হেক্টরের মধ্যে শতভাগ,সাবরাং ইউনিয়নে ১হাজার হেক্টরের মধ্যে শতভাগ,সেন্টমার্টিনে ৯০ হেক্টরের মধ্যে ৮৫হেক্টর ও টেকনাফ পৌর এলাকায় ৫হেক্টরের মধ্যে ৫হেক্টর জমিতে ভাল ফলন পাওয়া গেছে। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিলের বাসিন্দা ও সাংবাদিক মুহাম্মদ ছৈয়দ হোসাইন বলেন খোরাকের জন্য ১২কানি জমিতে চাষ করেছে। গতবারের তুলনায় এই বছর ফলন ভাল হওয়ায় মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করেন।সাবরাং কাটাবনিয়ার কৃষক আব্দুল্লাহ জানান সে ৫কানি ধানি জমিতে চাষ করেছে। এইবারে ঝড়-তুফান না হওয়ায় ফলন ভাল হয়েছে। বাহারছড়া শামলাপুরের কৃষক রহমত উল্লাহ বলেন ৪কানি জমিতে ধান চাষ করেছে। এই বছর আশানুরূপ ভাল ফলন হয়েছে। সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর তনয় মাহবুব মোরশেদ বলেন এই বছর ২৪কানি জমিতে চাষ করেছে। এই বছর আবহাওয়া অনুকূল ও আল্লাহর রহমতে ভাল ফলন হয়েছে বলে স্বীকার করেন। হ্নীলা লেচুয়াপ্রাং এলাকার কৃষক রফিক মুন্সী জানান এই বছর ১৬কানি জমিতে ধান চাষ করেছে। ইনশল্লাহ গতবারের তুলনায় এই বছর ভাল ফলন হয়েছে। হোয়াইক্যং নয়াবাজারের কৃষক নুরুল আবছার বলেন সে ৮কানি জমিতে চাষ করেছে। প্রজেক্ট ও বিলে গতবারের তুলনায় ফলন ভাল হয়েছে। শাহপরীর দ্বীপের দুদু মিয়া ১০কানি,হোছন আহমদ ৬কানি চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছে বলে জানান। এছাড়া দমদমিয়ার আবুল হাশেম,ঠান্ডা মিয়া লেদার হোছন,নাটমোরা পাড়ার জালাল উদ্দিন এই বারে ধানের ফলন ভাল হয়েছে বলে স্বীকার করেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্র জানায় কৃষি উপকরণ সহজলভ্য,সঠিক সময়ে পরিচর্যা ও সার প্রয়োগ হওয়ায় ক্ষেত্রে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কমেছে। কৃষক-কৃষানীরা আধুনিক ও উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করায় ধান চাষে ফলন বেড়েছে। এদিকে টেকনাফে চাউল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৮হাজার ৩শ ২১মেঃ টন নির্ধারণ করা হলেও সম্ভাব্য ৩০হাজার ২শ ৫৬মেঃ টন অর্জিত হয়েছে। যা লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ১হাজার ৯শ ৩৫মেঃ টন। এই বছরের ন্যায় আগামী দিন সমুহে কৃষকেরা উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষাবাদের মাধ্যমে আরো বেশী ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে মনে করেন। ####
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।