টেকনাফ উপজেলায় পানের বাম্পার ফলন হলেও বাজারে পানের উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় মাথায় হাত দেয়ার উপক্রম হয়েছে পান চাষীরা। তবুও টেকনাফ থেকে প্রতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২ কোটি টাকার পান যাচ্ছে। পান চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনা, মিঠাপানিরছড়া, হাবির ছড়া, দরগাহছড়া, মহেশখালীয়াপাড়া, গোদারবিল, শিলবুনিয়াপাড়া, হাবিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, নাজিরপাড়া, নতুন পল্লানপাড়া, জাহালিয়াপাড়া, হাজমপাড়া, লন্বরী, লেঙ্গুরবিল, সাবরাং, আছারবনিয়া, কাটাবনিয়া, কচুবনিয়া, আলীর ডেইল, বাহাছড়া, শামলাপুর, নোয়াখালীয়াপাড়া, বড়ডেইল, জাহাজপুরা, রাজারছড়া এলাকায় এবছর পানের ভাল ফলন হয়েছে। তবে গত বছরের চেয়ে এবছর পানের মূল্য কম হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। এসব পান প্রতি রবিবার ও বুধবার টেকনাফ বাসষ্টেশন ও সাবরাং নোয়াপাড়ায়, এবং শনি ও মঙ্গলবারে হাতিয়ার ঘোনা, মিঠাপানিরছড়া, হাবিরছড়া, রাজরছড়া, নোয়াখালীয়াপাড়া বড়ডেইল ও জাহাজপুরায় হাট বসে। টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন পান বাজার ঘুরে জানা যায়- বাজারে পানের মূল্য কম। গত বছর যে পানের বিড়া তিন শত টাকা ছিল, তা এখন পান বাজারে ৭০/৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে লোকসান দিয়ে পান বিক্রি করছে চাষীরা। তাছাড়া যেসব এলাকায় টেকনাফের পান যেত, সেসব এলাকায় পানের চাহিদা কমে যাওয়ায় টেকনাফে পানের মূল্য একেবারে কমে গেছে। টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবছর টেকনাফ উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে পানের চাষাবাদ বা পানের বরজ করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।