টেকনাফে বিজিবি জওয়ানেরা নাফনদীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৬০লক্ষ টাকার ইয়াবা বড়িসহ অনুপ্রবেশকারী ৪রোহিঙ্গা নাগরিকদের আটক করেছে। সুত্র জানায়,১৪মে সকালে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া বিওপির নায়েক হাবিবুর রহমান ৫৯লক্ষ ৭০হাজার টাকা মূল্যের ১৯হাজার ৯শ পিস ইয়াবা বড়িসহ মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মন্ডু থানার মগনীপাড়ার মোঃ শামসুল আলমের পুত্র শফি আলম (২৬),মোঃ রফিকের পুত্র মোঃ নুর (২০),মৃত সোলতান আহমদের পুত্র মোঃ জোবায়ের (২২)ও আবু রশিদের পুত্র মোঃ আবু নঈম (২৩)কে সংশ্লিষ্ট মাদক আইন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ মামলায় টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করেন। এর আগে গত ১৩মে রাত সাড়ে ৮টারদিকে অভিযান পরিচালনাকারী নায়েক হাবিবুর রহমান সর্ঙ্গীয় টহল দল নিয়ে সাবরাং ৪নং স্লুইচ গেইট সংলগ্ন নাফনদীর কিনারায় অভিযান যায়। কিছুক্ষণ পর একটি নৌকা হতে ৪/৫ জন লোক কেওড়া বাগানের দিকে আসলে বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করা মাত্র পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিজিবি টহল দল তাদের ধাওয়া করে আটক পূর্বক দেহ তল্লাশী করে উপরোক্ত মূল্যের ইয়াবা বড়ি ও একটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য গত ৬মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের পর এক জনসভায় ইয়াবাসহ যাবতীয় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করলেও শাহপরীরদ্বীপ,সাবরাং নয়াপাড়া, মৌলভীপাড়া,জালিয়াপাড়া,নাইট্যংপাড়া,বরইতলী,দমদমিয়া,জাদিমোরা,মোছনী,পূর্বলেদা,নাটমোরা পাড়া,পূর্ব ফুলের ডেইল, কাস্টমসঘাট, সুলিশপাড়া, হোয়াব্রাং, খারাংখালী, নয়াবাজার, কাঞ্জরপাড়া-ঊনছিপ্রাং, লম্বাবিল, হোয়াইক্যং কোনারপাড়া ও উলুবনিয়ার আদম পারাপারের ঘাটে নিয়োজিত দালালেরা কৌশলে ইয়াবার চালান এনে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ উঠছে। অবিলম্বে এসব দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।