কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আনসার-ডাকাতদের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। এসময় আনসারসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। রোববার দুপুর ২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এ ঘটনা ঘটে।
নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ইনচার্জ জালাল উদ্দিন বলেন, ডাকাত দলের সদস্য মো. ছাদেক সকালে রোহিঙ্গা শিবিরের এক যুবতীকে অনৈতিক কর্মকান্ডের চেষ্টা চালায়। ওই সময় যুবতীর মা বাধা প্রদানের চেষ্টা করলে তাকে ছুরিকাঘাত করে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে দুপুরের দিকে একই শিবিরের অপর একটি কক্ষে ছাদেক অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিক্তিতে শিবিরের নিয়োজিত আর্মড আনসার বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে ব্যারাকে নিয়ে আসে। ঘন্টাখানেক পরে ছাদেক অসুস্থতার অজুহাত দেখালে ছয়জন আনসার সদস্যের পাহারায় শিবিরের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়ার পথে আবদুল হাফেজের নের্তৃতে ১০-১২জনের ডাকাতদল লম্বা কিরিচ ও গুলিবর্ষণ করে আনসার সদস্যদের হামলা চালিয়ে মো. ছাদেক ছিনিয়ে নিয়ে নেয়। খবর পেয়ে আরও কয়েকজন আনসার সদস্য এগিয়ে আসলে ডাকাতরা তাদের লক্ষ্য করে ১২-১৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করলে আত্মরক্ষার্থে আনসার সদস্যরা ছয় রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করে। এতে হরিপদক দাশ (৩২), মো. মোশারফ হোসেন (৩৮) আনসার সদস্য ও ডাকাত দলের সদস্য মো. রফিক (৩০) এবং আবদুল হাফেজ (৩৮)। এরমধ্যে আবদুল হাফেজকে আটক করতে সক্ষম হলেও মো. ছাদেক ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মো. রফিক পালিয়ে যায়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খন্দকার জানান, গুলিবিদ্ধ দুই আনসার হরিপদক দাশ, মো. মোশারফ হোসেন ও ডাকাত আবদুল হাফেজকে পুলিশ পাহারায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাকাত আবদুল হাফেজ মারা যায়। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়া চলছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নিহত ডাকাত আবদুল হাফেজের বিরুদ্ধে থানায় নারী নিযাতন, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।