টেকনাফে এক সিএনজি চালকের ২য় স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। এই ব্যাপারে স্বামীকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানার যায়, ৯ মার্চ ভোররাতে পারিবারিক কলহের জেরধরে টেকনাফের সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়ার আমির হামজার পুত্র ও সিএনজি চালক নুরুল আলমের ১ম স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার ও ২য় স্ত্রী শাহেনা আক্তারের মধ্যে কলহের জেরধরে স্বামী ২য় স্ত্রীকে তিরস্কার করায় অভিমানে ভোররাতে বসত-বাড়ির গাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করে। সকালে লোকজন ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে টেকনাফ থানা পুলিশের এএসআই শিপন মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য নিয়ে যায়। উল্লেখ্য গত সাত মাস পূর্বে সিএনজি চালক ১ম স্ত্রী শাহেনা ও ২ মেয়ে থাকার পরও মোবাইল প্রেমে সম্পর্কে জড়িয়ে সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলী পাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে ইয়াছমিন আক্তারকে ২য় বিয়ে করে। বিয়ের পর হতে দুই সতীনের মধ্যে ছোট-খাট বিষয় নিয়ে প্রায় সময় কলহের সুত্রপাত হত বলে প্রতিবেশীরা জানায়। ইয়াছমিন আতœহত্যা করার ঘটনায় তার মামা আব্দুল করিম বাদী হয়ে যৌতুকের জন্য হত্যার অভিযোগ এনে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির কয়েক জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় এজাহার দায়ের করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।