১৬ এপ্রিল, ২০২৫ | ৩ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

টেকনাফে ৩ মানবপাচারকারি নিহতের ঘটনায় পুলিশের ২ মামলা, আরও ২ দালাল আটক

download

এদিকে ৭ মে গভীর রাতে টেকনাফ মডেল থানার এএসআই জহির উদ্দিন শাহপরীরদ্বীপে অভিযানে চালিয়ে ২ জন মানব পাচারকারীকে আটক করেছে। এরা হচ্ছে- শাহপরীরদ্বীপ কোনারপাড়া নুরুল ইসলাম ফকিরের পুত্র মোঃ ইলিয়াছ (৩৮) ও মৃত হানিফের পুত্র নুরুল ইসলাম (৪২)। এদেরকে ৮ মে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯ মামলার আসামী স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মানব পাচারকারী শাহপরীরদ্বীপের সেই ধলু হোছন প্রকাশ ধলু মাঝিসহ ৩ জন পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবী- ৩ জনই মানব পাচারকারীদের গুলিতে নিহত হয়েছে। এ অভিযানে ওসিসহ ৪ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। পুলিশ জান-মাল রক্ষার্থে ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে। ঘটনাস্থল থেকে অবৈধ অস্ত্র, তাজা গুলি ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। ৮ মে ভোর রাতে টেকনাফের বীচ হ্যাচারী এলাকায় এঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছে- শাহপরীরদ্বীপ বাজারপাড়া সুলতান আহমদের পুত্র ধলু হোসেন প্রঃ ধলু মাঝি (৫৫), কাটাবুনিয়া আবদুল মাজেদ মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৩০), হারিয়াখালী কবির আহমদের পুত্র জাফর আলম (২৫)। অভিযানে আহত পুলিশ অফিসারগণ হলেন- টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতাউর রহমান খোন্দকার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেন, এসআই/ মোঃ আবুল কালাম এবং কং/৫৮৬ মোঃ আবদুল বারী।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত অবৈধ অস্ত্র ও গোলা-বারুদের মধ্যে রয়েছে দেশীয় তৈরী ২টি এলজি, ৩ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১০ রাউন্ড কার্তুজের খোসা। এব্যাপারে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতদের বিরুদ্ধে শুধু টেকনাফ মডেল থানায় ১৯টি মামলা রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন- “টেকনাফ মডেল থানার এসআই (নিঃ)/ গোলাম কিবরিয়া সঙ্গীয় ফোর্স সহ রাত্রীকালীন মোবাইল ডিউটিতে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ডিউটিকরা কালে ৮ মে রাত্র অনুমান ৩ ঘটিকার সময় গোপন সূত্রে সংবাদ পান যে, টেকনাফ থানাধীন শাহপরীরদ্বীপ এলাকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কর্তৃক তালিকাভূক্ত মানব পাচারকারী চক্রের গডফাদার এবং মানব পাচার, খুন ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী ধলু হোসেন প্রঃ ধলু মাঝি এর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন মানব পাচারকারী অবৈধ অস্ত্র-শস্ত্র নিয়া মানব পাচারের উদ্দেশ্যে টেকনাফ থানাধীন বীচ হ্যাচারী নামক স্থানে অবস্থান করছে। বিষয়টি তিনি আমাকে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে আমি অতিরিক্ত অফিসার-ফোর্স নিয়া ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে ৩.৩০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত স্থানে পৌঁছলে উক্ত মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ সরকারী অস্ত্রগুলি ও জানমাল রক্ষার্থে কং/৫৮৬ মোঃ আবদুল বারীর নামে ইস্যুকৃত শর্টগান হতে ৮ রাউন্ড, কং/৭৫২ এনামুল হক ১০ রাউন্ড, এবং কং/৬৪৯ অসীম বড়–য়া ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ফায়ার করলে মানব পাচারকারীরা বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। অতঃপর গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলের দিকে আগত লোকজনসহ ভোরের আলোতে ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকা তল্লাশি কালে মানব পাচারকারী দলের ছোঁড়া গুলিতে ৩ জন লোক গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। উপস্থিত স্থানীয় লোকজনসহ তাদের সন্নিকটে গেলে তাদের পার্শ্বে ঘটনাস্থল হতে ২টি দেশীয় তৈরী এলজি, পড়ে থাকাবস্থায় ১০ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ প্রাপ্ত হয়ে জব্দ করা হয়। স্থানীয় লোকজন মৃত ব্যক্তিদের নাম যথাক্রমে ধলু হোসেন প্রঃ ধলু মাঝি (৫৫), পিতা-সুলতান আহাম্মদ, সাং-শাহপরীরদ্বীপ বাজারপাড়া, জাহাঙ্গীর আলম (৩০) পিতা-আবদুল মাজেদ মিয়া, সাং-কাটাবুনিয়া, জাফর আলম (২৫), পিতা-কবির আহাম্মদ, সাং-হারিয়াখালী, সর্ব-সাবরাং ইউপি, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানায়। অতঃপর গুরুতর আহত হওয়ায় অবস্থায় উক্ত গুলিবিদ্ধ ৩ জন কুখ্যাত মানব পাচারকারীদেরকে চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিকভাবে টেকনাফ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের ভোর ০৪:০০ ঘটিকায় মৃত ঘোষনা করেন। উক্ত ঘটনায় আমি মোঃ আতাউর রহমান খোন্দকার, অফিসার ইনচার্জ, টেকনাফ মডেল থানা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেন, এসআই/ মোঃ আবুল কালাম এবং কং/৫৮৬ মোঃ আবদুল বারী আহত হলে আমরা সকলেই টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি। আসামীদের বিরুদ্ধে মানব পাচারসহ বিভিন্ন আইনে ১৯টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো হচ্ছে- ৩৬/১১, ৭৩/১৫, ৩৭/১৩, ২২/১১, ১/১৪, ৩৩/১৩, ৬০/১২, ২/১৪, ৪৭/১২, ২৪/১৩, ৬/১৩, ৯/১৩, ৩০/১৪, ৮০/১৪, ৩৭/১৩, ১/১৩, ২৮/১০, ১২/১০”।
এছাড়া চট্রগ্রাম, চকরিয়াসহ বিভিন্ন থানায় আরও কয়েক ডজন মামলা থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মানব পাচারকারী ধলু হোছন মাত্র কয়েক দিন আগে বাড়ি এসেছেন বলে জানা গেছে

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।