২০১৬ সালের ১৩ মে টেকনাফের আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৮৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব সদস্যরা। এসময় আনসার ক্যাম্পের অস্ত্র লুটের দু’হোতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাত থেকে এক দীর্ঘ অভিযানে র্যাবের সদস্যরা এসব অস্ত্র উদ্ধার ও দু’ হোতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। অভিযানে অংশ র্যাবের ডিজি বেনজির আহমদ ও আনসারের ডিজি মিজানুর রহমান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক খাইরুল আমিন ও মাস্টার আবুল কালাম আজাদ। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার নাইক্ষ্যংছড়িতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাব জানান, উখিয়ার কুতুপালং এলাকা থেকে সোমবার রাতে দু’টি অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির গহীন পাহাড়ে অভিযান চালান র্যাব সদস্যরা। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ভোর রাতে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় টেকনাফের আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া পাঁচটি অস্ত্রসহ মোট ১০টি অস্ত্র ও ১৮৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নাঈক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকার গহীন অরণ্য থেকে এসব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে র্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদ ও আনসারের ডিজি মিজানুর রহমানসহ বিপুল সংখ্যক র্যাব, পুলিশ, সাংবাদিক ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
পরে ঘটনাস্থলেই প্রেস ব্রিফিং করেন বেনজির আহমেদ ও মিজানুর রহমান। তারা বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলের গভীর অরন্যের সম্ভাব্য দুটি পাহাড় ঘিরে রেখেছে র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে আরও দুদিন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তারা আরও জানান, আনসার ক্যাম্পে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ মে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ব্যারাকে সশস্ত্র হামলা চালায় একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত। এ সময় হামলাকারীদের গুলিতে নিহত হন ব্যারাকের দায়িত্বরত আনসার কমান্ডার। হামলাকারীরা লুট করে নিয়ে যায় ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ড গুলি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।