টেকনাফের কৃতি সন্তান,সাবেক সচিব ও মুক্তিযোদ্ধা হাসান মুহাম্মদ দেলোয়ার হার্টস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।
জানা যায়-২৩ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক সচিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান মুহাম্মদ দেলোয়ার ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি.. রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫বছর। তিনি টেকনাফের হ্নীলা পশ্চিম পানখালী মরহুম আমির আলী মাষ্টার বাড়ির বড় সন্তান। মৃত্যুকালে তিনি গর্ভধারিনী মা,স্ত্রী,২ছেলে,ভাই-বোন,আত্মীয়-স্বজন,শুভাকাংখী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। হাসান মোহাম্মদ দেলোয়ার পাক আমলে (বিসিএস-প্রশাসন)পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরীতে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি দেশে এসে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি সরকারী গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব,বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দক্ষতা এবং সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পর অবসর গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে চাকুরী জীবনে দক্ষতা এবং বিশ^স্থতার কারণে সরকার তাঁকে চুক্তিভিত্তিক বিটিআরসি ও বিটিসিএলের চেয়ারম্যানসহ সম্মানজনক পদে অধিষ্টিত করেন। একজন সৎ,মেধাবী কর্মকর্তা ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে দেশজুড়ে তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে। তিনি গত ২১ডিসেম্বর ঢাকায় স্ট্রোক করলে দ্রুত স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২২ডিসেম্বর তাঁকে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ মেডিকেল টীম অপারেশন করেন। জ্ঞান ফিরে না আসায় হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। ২৩ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় তিনি মৃত্যুবরণের খবর ছড়িয়ে পড়লে টেকনাফসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মরহুমের দুইপুত্র দেশের বাইরে অবস্থান করায় আগামী ২৬ ডিসেম্বর বাদে আছর হ্নীলায় পারিবারিক গোরস্থানে জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়। নিহতের ছোট ভাই ও হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ¦ এইচকে আনোয়ার (সিআইপি) মরহুম বড় ভাইয়ের জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।