এমভি শাহাদ নামের এক ট্রলারের ধাক্কায় লবণ বোঝাই এমভি ফেরদৌস সন্দ্বীপ উপজেলার মেঘনা নদীর মোহনায় ঢুবে গেছে। এসময় এমভি ফেরদৌস ট্রলারের মেস্ত্রী নুরুল করিম (৪০) নিখোঁজ হয়ে যায়। ট্রলারটির ধাক্কায় ৭জন মাঝি-মাল্লা গুরুতর আহত হয়েছে। গত শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এমভি ফেরদৌস ট্রলারটি চকরিয়া উপজেলা বদরখালী থেকে লবণ বোঝাই করে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে এ দূর্ঘটনার শিকার হন।
এমভি ফেরদৌস ট্রলারের মালিক ও মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি এলাকার নাজেম উদ্দিন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, গত বৃহস্পতিবার তার ট্রলারটি চকরিয়া উপজেলা বদরখালী থেকে প্রায় ৫হাজার মণ লবণ ভর্তি করে নারায়ণঞ্জ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ট্রলারটি লবণ নিয়ে সন্দ্বীপের পশ্চিমে ও হাতিয়ার পূর্বে মেঘনা নদীর মোহনায় পৌছলে বিপরীতদিক আসা এমভি শাহাদ ট্রলার (লাইসেন্স নং-৬৯৭৭) ধাক্কা দেয়। এসময় লবণ ভর্তি ট্রলারটি ধুমড়ে মুচড়ে নদীতে ঢুবে যায়। এসময় এমভি ফেরদৌসে থাকা ৭জন মাঝি মাল্লা নদীতে নিখোজ হয়ে যায়। পরে বিভিন্ন ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের সহায়তায় ৬জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করলেও নুরুল করিম নামে এক মেস্ত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়। তাকে এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানান উদ্ধার হওয়া মাঝি-মাল্লারা। নুরুল করিম নোয়াখালী শান্তিরহাট এলাকার মৃত আবদুর রশিদের পুত্র বলে জানা গেছে।
নাজেম আরও জানান, ৬০লাখ টাকা খরচ করে নতুন ট্রলারটি তৈরী করা হয়েছে। গত শনিবার ৮লাখ টাকার লবণ বোঝাই করে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে দূর্ঘটনার শিকার হয়। এতে তার এককোটি ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।