চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন বি.এন.পি আহ্বায়ন কমিটি গঠনে স্থানীয় ত্যাগী নেতা কর্মীদের দলে স্থান পাওয়া ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেছেন দলের তৃণমূলের নেতকর্মীরা । যারা বিএনপি দুঃসময়ে দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন সদ্যঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিতে তাদের নাম না থাকায় বঞ্চিত নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সদ্যঘোষিত ১৫ নভেম্বর ডুলাহাজারা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে একই পরিবারের একাধিক সদস্যদের ওই কমিটিতে অন্তভূক্ত করে চকরিয়া উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। একাধিক নেতকর্মীদের অভিযোগ, সদ্যঘোষিত কমিটিতে আহ্বায়ক অধ্যাপক ছাবের আহমদ , সদস্য ফজলুল কাদের ও সদস্য সাবেক মেম্বার কামাল উদ্দীন একই পরিবারের সদস্য । সদস্য মাষ্টার শামসুল ইসলাম ও মাওলানা মঞ্জুর ইসলাম একই পরিবারের সদস্য । উল্লেখ্য যে, যোগ্যতা থাকার পরও তাদের নামে আহ্বায় কমিটিতে স্থান পায়নি ডুমখালীর কৃতি সন্তান পেকুয়া কলেজের অধ্যক্ষ এ.এম ফরিদুল আলম চৌধুরী , বিশিষ্ট ফুটবলার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন । উল্লেখ্য যে , চকরিয়া উপজেলার ছাত্রদলের সভাপতি চকরিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান জাফর আলম বি.এ (অনার্স) এর গাড়ীতে চড়ার অপরাধে হাবিববুল ইসলাম নয়নকে বহিষ্কার করা হলে , কিন্তু বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল জব্বার গরু জবাই করে উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমকে তার বাড়ী দাওয়াত খাওয়ালেও তার কোন অপরাধ হয় না। একই এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি নুরুল ইসলাম মাইজ্জা মিয়া গত আওয়ামীলীগের সম্মেলনে মিশিল সহকারে সমাবেশে যোগ দিলেও তাকে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে রাখা হয়। এতে ডুলাহাজারা বিএনপি অনেক তৃণমূলের নেতকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা স্বজনপ্রীতিভেদে গঠিত অসম্পূর্ণ অসম্পূর্ণ আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের জোর দাবী জানিয়েছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , এ আহ্বায়ক কমিটি রাখা হলে একসময় ডুলাহাজারার মাটিতে বিএনপি এর কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ সদ্য ঘোষিত এই কমিতে যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা গিরগিটির মত রং পাল্টায়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।