চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভেতর একটি বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে পার্কের বনকর্মীরা হাতির নির্ধারিত বেষ্টনীর অদুরে সীমানা দেয়ালের কাছে জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখে হাতির মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করে ময়নাতদন্ত শেষে ফের পার্কের ভেতরে হাতির মৃতদেহটি পুঁেত ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্কের বনবিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী। তবে স্থানীয় সুত্রে অভিযোগ উঠেছে, কতিপয় পাচারকারী চক্র হাতির দাঁত ও মুল্যবান অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ লুটের জন্য পার্কের লোকজনের সহযোগিতায় আগেরদিন সন্ধ্যায় পার্কে ঢুকে রাতের আঁধারে এ ঘটনাটি সংগঠিত করেছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, সাফারি পার্কের হাতি বেষ্টনীর সীমানা দেয়াল অরক্ষিত থাকায় প্রায় সময় বন্যহাতির পাল বিনা বাঁধায় পার্কে ঢুকে পড়ে। ওই বিষয়টি মাঁথায় রেখে পাচারকারী চক্রের লোকজন ফাঁদ পেতে হাতি হত্যার মাধ্যমে দাঁত ও মুল্যবান অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ লুটের জন্য পরিকল্পনা নেন। স্থানীয়দের ধারনা, আগেরদিন সন্ধ্যার দিকে পাচারকারী চক্রের কতিপয় সদস্যরা পার্কে ঢুকে কৌশলে হাতিটিকে হত্যা করে। পরে তাঁরা মৃত হাতিটি মাদি হওয়ার কারনে দাঁত না থাকায় সেখানে ফেলে পালিয়ে যায়।
সাফারি পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.নুরুল হুদা বলেন, আগেরদিন যে কোন সময় বন্যহাতিটি পার্কে ঢুকে পড়ে। রাতে তার মৃত্যু ঘটে। তবে ঠিক কি কারনে হাতিটি মারা গেছে তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়াই এখনই তা বলা যাবেনা। বৃহস্পতিবার সকালে হাতির মৃতদেহটি উদ্ধারের পর বিষয়টি থানা পুলিশ ও পার্কের উর্ধ্বতন প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। এরপর থানার এসআই সুজন তালুকদারের উপস্থিতিতে হাতির মৃতদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেন পেকুয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। পরে মৃতদেহটি পার্কের ওই এলাকায় পুঁেত ফেলা হয়। এব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী রুজু করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।