যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিয়ে নেটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অথবা ইউরোপের জন্য ‘একলা চলো’ নীতি গ্রহণ করার কোন সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের সামনে এখন একটি প্রজন্মের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় মি. ট্রাম্প পশ্চিমা সামরিক জোট, নেটোকে অচল হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি ইঙ্গিত করেন যে, উপযুক্ত অর্থ না দিলে নেটো মিত্র দেশের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে।
ব্রিটেনের অবজারভার পত্রিকায় এক কলামে মি. স্টোলটেনবার্গ উল্লেখ করেন, নেটোর কোন কোন দেশের যে আরো বেশি আর্থিক ভূমিকা রাখা উচিত সেবিষয়ে মি. ট্রাম্পের কথায় যুক্তি আছে; কারণ বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নেটোর ৭০ শতাংশ ব্যয় বহন করে।
তবে তিনি এটিও উল্লেখ করেন যে , একটি নিরাপদ এবং স্থিতিশীল ইউরোপ যে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থেই জরুরী সেটা মার্কিন নেতারা সবসময়ই স্বীকার করে এসেছেন।
“আমাদের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধিকে আমরা খুব সহজেই গ্রহণ করে নিতে পারি। তবে এই অনিশ্চিত সময়ে আমাদের শক্তিশালী মার্কিন নেতৃত্বের প্রয়োজন এবং ইউরোপিয়ানদেরও উচিত ন্যায্য দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়া”। লেখেন নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মি. স্টোলটেনবার্গ।
ওয়াশিংটনে বিবিসির সংবাদদাতা পল অ্যাডামস বলছেন, মি. ট্রাম্প জয়ী হবেন না ভেবে যেসব কথাকে আগে গুরুত্ব দেয়া হয়নি এখন নেটো জোটের জন্য সেই কথাগুলোই হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি মি. ট্রাম্পের প্রশংসাসূচক দৃষ্টিভঙ্গি নেটো জোটের উদ্বেগ আরো বাড়িয়েছে। বিবিসি
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।